আর্থিকভাবে দুর্বল প্রার্থীদের (EWS) সংরক্ষণের ক্ষেত্রে আয়ের সীমা বিবেচনা করে দেখবে কেন্দ্র। সেই পরিস্থিতিতে চার সপ্তাহের জন্য সর্বভারতীয় অভিন্ন মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষার (নিট-স্নাতকোত্তর) কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হল।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, স্নাতকোত্তর মেডিকেল কোর্সে আর্থিকভাবে দুর্বল প্রার্থীদের সংরক্ষণের জন্য আয়ের সীমা যে আট লাখ টাকা করা হয়েছে, তা পুনর্বিবেচনা করে দেখবে কেন্দ্র। সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে। সেজন্য চার সপ্তাহ লাগবে। যে সওয়াল মেনে নেয় বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সূর্য কন্ত এবং বিচারপতি বিক্রম নাথের ডিভিশন বেঞ্চ।
কেন্দ্রের সেই সওয়ালের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়েছে, ‘সলিসিটর জেনারেল জানিয়েছেন যে এই কাজের (আর্থিকভাবে দুর্বল প্রার্থীদের সর্বোচ্চ সীমা) চার সপ্তাহ লাগবে। ততদিন পর্যন্ত কাউন্সেলিং স্থগিত থাকবে।’ সেইসঙ্গে আগামী নয়া বছরের ৬ জানুয়ারি পরবর্তী মামলার দিন ধার্য করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, সর্বভারতীয় কোটা কর্মসূচির আওতায় স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরে সমস্ত মেডিকেল এবং ডেন্টাল কোর্সে (এমবিবিএস/এমডি/এমএস/ডিপ্লোমা/বিডিএস/এমডিএস) অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) জন্য ২৭ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। আর্থিকভাবে দুর্বল প্রার্থীদের জন্য আসন সংরক্ষণ করা হবে ১০ শতাংশ। যে নিয়ম ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকেই কার্যকর হবে। যে সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।