২২ জুলাই তাঁকে আদালত বাঁকুড়া জেলায় প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। রবিবার বিষ্ণুপুর এলাকায় বিজেপির সদস্যতা অভিযানে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগ দেন সৌমিত্র খাঁ। মঞ্চে বক্তৃতা করতে উঠে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তির বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সরব হন তিনি। সৌমিত্র বলেন, “তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তির বহর বেড়েছে। কিভাবে তাদের আর্থিক সম্পত্তির বহর বাড়ল গ্রামে গ্রামে গিয়ে আমি তার খবর নেব । তৃণমূলে গিয়ে পাপ করেছিলাম ৷ এবার বিজেপি-তে যোগ দিয়ে সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছি।”
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণের নিশানা করেন তিনি। সৌমিত্র খাঁ বলেন, “আমরা শ্যামাপ্রাসাদ মুখার্জির ভারতীয় জনতা দল করি ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো দস্যুরানি ও চোরের রানির দল করি না ৷ বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের মানুষের আশীর্বাদ ও ভালোবাসায় সাংসদ হয়েছি এবার বিষ্ণুপুর লোকসভার মানুষের পাশে থেকে উন্নয়নের কাজ করব।” প্রসঙ্গত, চলতি বছর ১০ জানুয়ারি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। তারপরেই তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু করে রাজ্য প্রশাসন। যার জেরে লোকসভা ভোটে বিষ্ণুপুরে প্রচারে যেতে পারেননি তিনি। কিন্তু, প্রচারে না গিয়েও তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল সাঁতরাকে ৭৫ হাজার ভোটে হারিয়ে বিজেপির প্রতীকে জয়লাভ করেন। এবার আদালতের রায়ে বিষ্ণুপুরের মাটিতে দাঁড়িয়েই তৃণমূলকে একহাত নিলেন সৌমিত্র।