কর্ণাটকে রাজনৈতিক নাটক এখনো চলছে। রবিবার রাজ্যের বিধানসভা স্পীকার কে.আর রমেশ দল বদল আইন অনুযায়ী কংগ্রেস-জেডিএস এর ১৪ জন বিধায়ককে অযোগ্য আখ্যা দেন। সোমবার ইয়েদুরাপ্পার শক্তি প্রদর্শনের আগে এরকম সিদ্ধান্ত নিয়ে কংগ্রেসকে একটু অক্সিজেন যোগাতে চেয়েছিলেন স্পীকার। আপনাদের জানিয়ে রাখি, কর্ণাটক বিধানসভার এই স্পীকারই কংগ্রেসের সরকার বাঁচানোর জন্য জোট সরকারের বিধায়কদের ইস্তফা গ্রহণ করেছিল না। এমনকি কংগ্রেসের সুবিধা করে দেওয়ার জন্য কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীকে অতিরিক্ত ৩ দিনের সময় দেওয়া হয়েছিল আস্থা ভোটে।
যদিও বিধানসভা স্পীকারের এই সিদ্ধান্তে ইয়েদুরাপ্পার নেতৃত্বে চলা বিজেপি সরকারের কোন কিছু যায় আসেনা। কারণ ১৭ বিধায়কদের মধ্যে কংগ্রেসের ১৪ আর জেডিএস এর ৩ জন বিধায়ক আছে। ১৭ জন বিধায়ক কে অযোগ্য তকমা দেওয়ার পর কর্ণাটক বিধানসভার বিধায়কদের সংখ্যা এখন ২০৭ এ পৌঁছাল। সরকার টিকিয়ে রাখার জন্য বিজেপির দরকার ১০৪ জন বিধায়কের সমর্থন। একজন নির্দলীয় বিধায়ক বিজেপিকে সমর্থন করায় বিজেপির সদস্য সংখ্যা ১০৬। আর কংগ্রেসের ৬৬ এবং জেডিএস এর ৩৪।
বহু নাটকের পর গত মঙ্গলবার কর্ণাটক বিধানসভায় আস্থা ভোট হয়। ওই ভোটে কুমারস্বামীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস জেডিএস জোট ৯৯ এবং ইয়েদুরাপ্পার নেতৃত্বাধীন বিজেপি ১০৫ টি ভোট পায়। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন এইচ. ডি কুমারস্বামী। যদিও ইস্তফা দেওয়ার পরও উনি বিজেপিকে হুমকির সূরে বদলার কথা শুনিয়ে যান।