দিল্লি ডাকলে যান না, সময় খারাপ তাই প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ মমতা : দিলীপ ঘোষ

ত্রিপুরায় তৃণমূলের উপর ধারবাহিক হামলার ঘটনা, রবিবার তৃণমূল যুব নেত্রী সায়নী ঘোষকে গ্রেফতারের ঘটনা নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেতৃত্বও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রক, নর্থ ব্লকে বিক্ষোভ দেখায়। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এদিন কটাক্ষের সুরে বললেন, ”হোম মিনিস্টারের বাড়ির সামনে বসে কীর্তন করছে, এটা আমাদের সঙ্গে সখ্যতা নয়। এখানে বিজেপি পার্টি অফিসের সামনেও এসেছিল। খবর দিয়ে এলে আমি চা খাওয়াতে পারতাম। কিন্তু খবর না দিয়ে আসার জন্য চা খাওয়াতে পারিনি। সৌজন্যবোধ আছে আমাদের।” 

দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ”এখন দিদি দিল্লি গিয়েছেন। সময় খারাপ হলে অনেকের সঙ্গে কথা বলতে হয়। যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিংবা প্রধানমন্ত্রী ডাকেন তখন যান না। যখন অর্থমন্ত্রী ডাকে তখন যান না। যখন ডিএম কিংবা চিফ সেক্রেটারিকে ডাকেন তখনও যান না। এখন সংসার চলছে না। স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড নিয়ে মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছে। না ভর্তি হতে পারছে। না টাকা পাচ্ছে। না চিকিৎসা হচ্ছে। ডিএ নেই, বেতন নেই প্রত্যেকটি সরকারি অফিসের সামনে ধর্না চলছে। আইন অমান্য হচ্ছে পুলিস ডান্ডা দিয়ে জনগণকে সরিয়ে দিচ্ছে ।পুরো পশ্চিমবাংলা বিরোধিতার রাস্তা নিয়েছে। এসব থেকে বাঁচার জন্যই এখন মোদিজীর হাত পা ধরতে গিয়েছেন।”

প্রসঙ্গত, সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছিল। তারপরেই গতকাল তাঁর জামিন হয়েছে। এতে কি ত্রিপুরা সরকারের মুখ পুড়ল?জবাবে দিলীপ ঘোষ জানান, জানিনা কার মুখ পুড়ছে কিংবা কি হচ্ছে !  কোর্ট তার কাজ করেছে। পুলিসের কাজ পুলিস করেছে। হাজার হাজার মামলা ,কেস আমরা লড়ছি। 

গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে CBI তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। এদিন এবিষয়েও মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের কাজ হল প্রশাসন চালানো উন্নয়ন করা। তাঁরা যদি প্রতিনিয়ত কোর্টে কোর্টে চক্কর মারেন, হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিমকোর্ট তাহলে এখানকার কাজ কে করবে? এমন কাজ করেন কেন? যার জন্য আদালতে গিয়ে কান মলা খেতে হয়? প্রত্যেকদিন দেখুন হাইকোর্টে গিয়ে কান মলা খাচ্ছে, আর থাপ্পর খাচ্ছে। কোথাও কোনও ট্রান্সপারেন্সি নেই। ওনার কোথাও কোনও স্বচ্ছতা নেই। আর মানুষের বিশ্বাস নেই সরকারের উপরে। প্রত্যেকদিন কোথাও সিবিআই তদন্ত ,কোথাও হলফনামা। এরকম চলতে থাকবে সরকারের? এইভাবে কোনও উন্নয়ন হতে পারে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.