নিউটাউনের একশন এরিয়া ওয়ানের এই (AE) ব্লকে সোমবার সকালে চা চক্রে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল।
চা চক্র থেকেই একযোগে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন দিলীপ এবং অগ্নিমিত্রা। ব্রাত্য বসুর ত্রিপুরা যাওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন ত্রিপুরা, গোয়া সব জায়গায় উনি যেতে পারেন। কিন্তু বাংলার মুখ যেন তিনি পুড়িয়ে না আসেন। তিনি আরও বলেন তৃণমূল ত্রিপুরায় যে আচরণ করছে তাতে বাঙালির মাথা নত করে দিচ্ছেন তারা। বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতির সর্বনাশ করে দিচ্ছেন। তিনি বলেন যে বিজেপি আবেদন করছে তৃণমূল যেন খেলা পশ্চিমবঙ্গে খেলে। অন্য কোথাও খেলতে গেলে, খেলা উল্টো হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
সায়নী ঘোষের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে অগ্নিমিত্রা বলেন, পশ্চিমবঙ্গে যেকোনও বিষয়ে সভা বা মিছিল করতে গেলে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য পুলিস পারমিশন দেয় না এবং এরেস্ট করে। অন্যদিকে ত্রিপুরায় গিয়ে সায়নী ঘোষ মুখ্যমন্ত্রীর মিছিলে ঢিল ছুড়ছে এবং উস্কানি মূলক মন্তব্য করছে বলে দাবি করেন তিনি। এই ঘটনায় সায়নীর গ্রেফতার হওয়া স্বাভাবিক বলেই মন্তব্য করেন তিনি। অগ্নিমিত্রা আরও বলেন, তৃণমূল যে সন্ত্রাসের রাজনীতি পশ্চিমবঙ্গে করছেন সব জায়গায় তারা সেটা করতে পারবেন না। ২৫ তারিখ নির্বাচনের পরে কত ধানে কত চাল তা ত্রিপুরার মানুষ তৃণমূলকে বুঝিয়ে দেবে বলে হুশিয়ারি দেন তিনি।
দিল্লিতে তৃণমূলের ধর্না বসা নিয়ে দিলীপ বলেন, দিল্লিতে তারা যেতেই পারেন। কোথাও দুটো ঢিল পড়েছে তাতেই রাষ্ট্রপতির কাছে যাচ্ছে তৃণমূল। এর থেকে বেশি বাড়াবাড়ি হলে জাতিসঙ্ঘের কাছে যাবে বলে কটাক্ষ করেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লী যাওয়ার প্রসঙ্গে, অগ্নিমিত্রা বলেন দিদিমণি আমাদের সম্মানিয়া মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দিল্লি যেতেই পারেন কিন্তু কথায় কথায় ওনার নাটক করা আর কথায় কথায় রাজনীতি করা দেখতে সবাই অভ্যস্ত। অগ্নিমিত্রা, মুখ্যমন্ত্রিকে কটাক্ষ করে বলেন, ছবি আঁকা এবং কবিতা লেখার সঙ্গেই অভিনয় করলেও টলিউড সমৃদ্ধ হত এবং অস্কার পাওয়া যেত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মাটির যোগ কমে গেছে বলেও দাবি করেন অগ্নিমিত্রা।