বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ আচমকাই গ্রেনেড বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে জম্মুর একটি সরকারি বাস স্ট্যান্ড। নিহত হন দুই স্থানীয় যুবকের। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন।

এই হামলার ৫ ঘণ্টার মধ্যেই সন্দহভাজন হিসেবে বছর পনেরোর এক কিশোরকে আটক করে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। জেরায় ওই কিশোর জানিয়েছিল, কুলগামের হিজবুল কম্যান্ডার তাকে বাসস্ট্যান্ডে গ্রেনেড ছুড়তে বলেছিল। এই তথ্যের পরেই ফের প্রকাশ্যে এল আরও এক বিস্ফোরক তথ্য। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, ক্লাস নাইনের এই পড়ুয়া টিফিন বাক্সে করে নিয়ে এসেছিল গ্রেনেড। শুষ্ক বরফ (ড্রাই আইস) দিয়ে ভর্তি ছিল ওই লাঞ্চ বক্স। যাতে কেউ বুঝতে না পারে। শক্ত করে আটকানো ছিল মুখও। যাতে কোনওভাবেই আশেপাশের কেউ টের না পায়। জেরায় ওই কিশোর আরও জানিয়েছে যে, ইউটিউব দেখেই গ্রেনেড বিস্ফোরণের কৌশল শিখেছিল সে।

দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামের বাসিন্দা এই কিশোর। তাকে বৃহস্পতিবার জম্মু থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে নাগ্রোটার কাছে একটি পুলিশ চেকপয়েন্ট থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, হামলার পর বাড়ি পালানোর চেষ্টা করছিল ওই কিশোর। সেই সময়েই তাকে পাকড়াও করে পুলিশ। পুলিশের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, কী ভাবে কুলগাম থেকে এই কিশোর জম্মু এল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ কিশোর জানিয়েছে, সে এই অঞ্চলে আগে কখনও আসেনি। রাস্তাঘাটও চেনে না। তাই কারা তাকে এখানে এনেছে সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

পুলিশে সূত্রে খবর, বুধবার কুলগাম থেকে জম্মু উদ্দেশে রওনা দেয় ওই কিশোর। প্রায় ২৫০ কিলোমিটার রাস্তা প্রাইভেট গাড়িতেই এসেছিল সে। স্থানীয় কারও যে এই গ্রেনেড হামলায় হাত আছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। কারণ তাদের দাবি, নইলে এতটা রাস্তা একা একা আসা ওই ১৫ বছরের কিশোরের পক্ষে কোনওমতেই সম্ভব নয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে কুলগামের হিজবুল চিফ ফারুক আহমেদ ভাট। তাদের অনুমান, সম্ভবত এই ফারুকই গ্রেনেড হামলার জন্য ওই কিশোরকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.