স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কার্যকারিতাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন চিকিৎসক কুণাল সাহা। খ্যাতনামা চিকিৎসকের দায়ের করা মামলায় রাজ্য সরকারের কাছে হলফনামা চেয়েছে আদালত। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখিয়ে কোনও রোগী ভর্তি হতে না পারলে কী পদক্ষেপ করছে রাজ্য।
চিকিৎস সাহার প্রশ্ন, রাজ্য সরকার দাবি করছে প্রতি বছর স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধাভোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রাজ্যে ২ কোটির বেশি মানুষ এই প্রকল্পের আওতাধীন। তাহলে কী করে ক্রমশ কমছে প্রকল্পের বরাদ্দ?ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
আবেদনে দাবি করা হয়েছে, হাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলেও প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না বহু মানুষ। তাদের গাঁটের কড়ি খরচ করে চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। এমনকী অভিযোগ জানিয়েও লাভ হচ্ছে না।
এই মামলায় রাজ্য সরকারকে হলফনামা জমা দিতে বলেছে হাইকোর্ট। সঙ্গে জানানো হয়েছে মামলার পরবর্তী শুনানি ১৯ জানুয়ারি।
বলে রাখি, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের প্রতিটি পরিবার বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসাবিমা পান। এজন্য সরকার বিভিন্ন পরিষেবার যে দর ঠিক করেছে তা পছন্দ নয় বেসরকারি হাসপাতালগুলির। ফলে বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যসাথীর রোগী প্রত্যাখ্যানের অভিযোগ উঠেছে। এই প্রবণতায় রাশ টানতে ৫টি হেল্পলাইন নম্বর প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার। জানানো হয়েছে, ওই নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানালে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে রাজ্য সরকার।