স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দায়িত্ব নিয়েই কাশ্মীরে গিয়েছিলেন অমিত শাহ। সেখান থেকে ফিরে জানিয়েছিলেন, সীমান্তের ওপার থেকে যাতে সন্ত্রাসমূলক কাজে অর্থসাহায্য না করতে পারে পাকিস্তান, তার জন্য কাশ্মীরের সুরক্ষা আরও জোরদার করা হচ্ছে। তারপরেই শনিবার উপত্যকায় মোতায়েন করা হয় ১০ হাজার সেনা। এ বার কাশ্মীরের চার জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালালেন ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির অফিসাররা।
শনিবারই কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলায় এই তল্লাশি অভিযান চালায় এনআইএ অফিসাররা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ও সিআরপিএফ জওয়ানরা। বেশ কিছু বাড়িতেও তল্লাশি চালান তাঁরা। সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে খবর। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
সীমান্তের ওপার থেকে কীভাবে এই ধরণের অর্থ আহায্য করা হয়, সে ব্যাপারে সব খবর নিতে চাইছেন আধিকারিকরা। কারণ, একমাত্র উৎস জানতে পারলে তবেই তা বন্ধ করা সম্ভব হবে।
গত মাসেই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা মাসারাত আলমকে জম্মু-কাশ্মীর জেল থেকে দিল্লিতে নিয়ে আসে এনআইএ। তাঁকেও এই জঙ্গি কার্যকলাপে অর্থসাহায্যের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আলম ছাড়াও আসিয়া আন্দ্রাবি ও শাবির শাহকেও নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে এনআইএ। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, জঙ্গি নেতা তথা লস্কর প্রধান হাফিজ সইদের সঙ্গে তাঁরা যুক্ত। তাঁর নির্দেশেই কাশ্মীরে জঙ্গিদের অর্থসাহায্যের অভিযোগ রয়েছে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের বিরুদ্ধে।
২০১৮ সালেই হাফিজ সইদ, সৈয়দ সালাহউদ্দিন-সহ ১২ জন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার বিরুদ্ধে চার্জশিট ফাইল করেছে এনআইএ। এই চার্জশিটে বলা হয়েছে, এদের মদতেই উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়ছে। তারপর থেকেই জঙ্গিদের দুর্বল করে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরণের পদক্ষেপ নিচ্ছে এনআইএ।