দুই কিশোরীকে হাত বাঁধা অবস্থায় বাইকে করে নিয়ে যেতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হল এক সন্দেহভাজন ব্যক্তি। শনিবার সকাল ১১ টা নাগাদ ইএম বাইপাস থেকে রুবি মোড়ের কাছে তাদের দেখতে পান কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট। এরপর ওই বাইকটি আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে যুবকের কথায় অসঙ্গতি মেলে। তারপরেই তাকে তিলজলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ঠিক কী ঘটেছিল এদিন?ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ১১ টা নাগাদ ট্যাংরা থেকে রুবির দিকে বাইকটি যাচ্ছিল। তখনই এক পথচারীর চোখে পড়ে বাইক আরোহীর পিছনে বসে রয়েছে দুই নাবালিকা। অথচ তাদের হাত বাঁধা রয়েছে দড়ি দিয়ে। সেই সন্দেহেই তিনি রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্টকে বিষয়টি জানান। কিন্তু ততক্ষণে বাইকটি অনেকটা রাস্তা পেরিয়ে গিয়েছে। দেরি না করে ট্রাফিক সার্জেন্ট তৎক্ষণাৎ ট্রাফিক গার্ডে বিষয়টি জানান। তৎপরতার সঙ্গে ট্রাফিক গার্ডের ওসি যে কোনওভাবে বাইকটিকে আটকানোর নির্দেশ দেন।
অবশেষে রুবি থেকে কিছুটা দূরে বাইক আরোহীকে আটকে ফেলে ট্রাফিক পুলিশ। নাবালিকাদের হাত দড়ি দিয়ে কেন বাঁধা রয়েছে, তা জানতে চাইলে আরোহী নিজেকে তাদের বাবা বলে দাবি করে। অন্যদিকে, নাবালিকারা সেই দাবি অস্বীকার করে আরোহীকে চেনে না বলেই পুলিশকে জানায়। কান্নার সুরে তারা দিদিমার কাছে যাওয়ার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করে। এরপরেই বাইক আরোহী-সহ দুই নাবালিকাকে তিলজলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এটি অপহরণের ঘটনা নাকি এর পিছনে অন্য কোন বিষয় রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান নাবালিকাদের মায়ের সঙ্গে বাইক আরোহীর পূর্ব পরিচয় রয়েছে। এ নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে তিলজলা থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।