মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তৃণমূল বিধায়কের নালিশের পর অপসারিত ওসি-সহ ৩ পুলিস আধিকারিক।

‘চুরি ডাকাতি কেন বেড়েছে’? প্রশাসনিক বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হল উত্তর ২৪ পরগনার বীজপুর থানার ওসি সঞ্জয় বিশ্বাসকে। বাদ গেলেন না থানার আরও ৩ পুলিস আধিকারিকও।

পর পর বেশ কয়েকটি চুরি ও ছিনতাইয়ে ঘটনা ঘটেছে বীজপুরে। এদিন মধ্যমগ্রামে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নালিশ জানান নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। তিনি বলেন, ‘দিদি, তোমার কাছে কিছু চাইব না। তুমি সব দিয়েছ। শুধু এটুকু বলার বীজপুরে চুরি ডাকাতি মারাত্বক বেড়ে গিয়েছে। এটা যদি একটু বন্ধ করে যায়’! এরপর বীজপুরে থানার ওসি-র খোঁজ করেন মুখ্য়মন্ত্রী। সশরীরে নয়, ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

ওসি-র কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে চান, ‘কেন বীজপুরে চুরি-ডাকাতি বেড়েছে’? ওসি সঞ্জয় বিশ্বাস জবাব দেন, ‘আমরা এগুলি দেখছি। কয়েকজনকে ধরেছি। তাঁদের কোর্টে ফরওয়ার্ডও করেছি’। মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু সন্তুষ্ট হননি, বরং তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘কোর্টে শুধু ফরোয়ার্ড করলেই হবে না। কেস ঠিকমতো না করলে, ডায়েরি ঠিকমতো না রাখলে, পরের দিনই জামিন পেয়ে যাবে’। স্রেফ বিষয়টি দেখভাল করাই নয়, বেশ কয়েকজন  ওসি ও আইসিকে বদলিরও নির্দেশ দেন ব্যারাকপুরের পুলিস কমিশনারকে। শেষপর্যন্ত অপসারিত হলেন ওসি সঞ্জয় বিশ্বাস-সহ বীজপুর থানার কর্মরত তিন পুলিস আধিকারিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.