কোনওটির মুখ বাঁধা দড়ি দিয়ে, কোনওটির গলা বা পা, কলকাতায় ‘খুন’ ৫ কুকুরছানাকে

কলকাতায় পাঁচ কুকুরছানাকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ উঠল। সেই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে জোড়াবাগান থানায়। ইতিমধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) বেলগাছিয়া পশু হাসপাতালে মৃত পাঁচ কুকুরছানার ময়নাতদন্ত করা হবে।

বুধবার সকালে জোড়াবাগান এলাকার একটি গুদামঘর থেকে পাঁচটি কুকুরছানার দেহ উদ্ধার করা হয়। কোনও কুকুরছানার গলা দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিন। কোনওটির মুখ বাঁধা ছিল জড়ি গিয়েছে। কোনও কুকুরছানার আবার চারটি পা একসঙ্গে বেঁধে রাখা ছিল। যে ঘটনার নৃশংসতায় ২০১৯ সালে নীলরত‌ন সরকার মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের স্মৃতি ফিরে এসেছে। প্রায় তিন বছর আগে এনআরএসে ১৬ টি কুকুরছানাকে পিটিয়ে মারা হয়েছিল। গ্রেফতার করা হয়েছিল দুই নার্সিং পড়ুয়াকে।

জোড়াবাগানের নৃশংস ঘটনার পিছনে ওই গুদামঘরে কর্মরত এক ব্যক্তির হাত আছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে মারধর করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, পাঁচ কুকুরছানাকে খুন করেছেন অজয় ঠাকুর নামে ওই ব্যক্তি। পরে ঘটনাস্থল থেকে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে যায় পুলিশ। এক পশুপ্রেমী দাবি করেছেন, যে গুদামঘর থেকে কুকুরছানাগুলির দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানেই কাজ করেন অজয়। আগেও তাঁর বিরুদ্ধে কুকুরদের মারধর, ছুরি দিয়ে ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছিল। মঙ্গলবার রাতে মদ্যপান করে কুকুরছানাগুলিকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন পশুপ্রেমী। তিনি জানিয়েছেন, বেঁচে গিয়েছে একটি কুকুরছানা। তাকে মায়ের সঙ্গে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

যদিও কুকুরছানাদের খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অজয়। গুদামঘরের মালিক দাবি করেছেন, কুকুরছানাগুলির নিয়মিত দেখাশোনা করতেন অভিযুক্ত। নিয়মিত কুকুরছানাদের খাওয়াতেন। তবে অজয়ের যে মদ্যপানের স্বভাব আছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন গুদামঘরের মালিক। তিনি জানিয়েছেন, মদ্যপান করে একবার অজয় কুকুরদের মারধর করেছেন বলে জানতে পেরেছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.