ভারতীয় রেল বেশ কিছু ট্রেনকে সাত্ত্বিক হিসেবে চিহ্নিত করতে চলেছে বলে খবর। ওই ট্রেনের যাত্রীদের শুধুই নিরামিষ খাবার পরিবেশন করা হবে। মূলত বিভিন্ন হিন্দু ধর্মস্থান গামী ট্রেনগুলিকে এই তালিকায় রাখার উদ্যোগ নিয়েছে রেল। অযোধ্যাগামী রামায়ণ এক্সপ্রেসের বেশ কিছু ভিডিও ও ছবি ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা গেছে হলুদ পাঞ্জাবী, লাল ধুতি, রুদ্রাক্ষের মালা পরে যাত্রীদের নিরামিষ খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে।
সাত্ত্বিক কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নিরামিষভোজীদের জন্য বিশেষ ট্রেন চালু হবে খুব শীঘ্রই। ইন্ডিয়ান রেল ক্যাটারিং এন্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশনের সঙ্গে কাউন্সিল জোট বেঁধে নিরামিষ খাবার পরিবেশনের উদ্যোগী হয়েছে। রেলের তরফে এখনো এই ব্যাপারে কিছু না জানানো হলেও সাত্ত্বিক কাউন্সিলের দাবি, দিল্লি থেকে কাটারা যাওয়ার বন্দে ভারত এক্সপ্রেস সবার আগে স্বাত্ত্বিক তকমা পাচ্ছে। এই ট্রেনটি সর্বশেষ স্টেশন বৈষ্ণোদেবী মন্দির।
সম্প্রতি আইআরসিটি রামায়ণ এক্সপ্রেস নামের তীর্থ স্পেশাল ট্রেন চালু করেছে। এই ট্রেনেও মাছ মাংস পাওয়া যাচ্ছে না। শুধুই নিরামিষ খাওয়ার পাওয়া যাচ্ছে। হলুদ পাঞ্জাবী, লাল ধুতি, টুপি, রুদ্রাক্ষের মালা পরে যাত্রীদের নিরামিষ খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে ট্রেনে, এমন একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
জানা গেছে এইরকম মোট ১৮ টি ট্রেনে চালু হওয়ার কথা। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নিরামিষ খাদ্যভাস থাকা মানুষের দেশগুলোর মধ্যে ভারত অন্যতম। ফলে এখানে অনেকেই তাদের খাদ্যাভ্যাসের কারণে ট্রেনের নিরামিষ খাবার অর্ডার করেন না, কারণ তাদের আমিষ খাবারের সঙ্গে ছোঁয়া ছুঁয়ির ভয়ে থাকে। অনেক সময় আবার পরিবেশনের ভুলে খাবারে আমিষ খাবারের গন্ধের ভয় পান। ফলে বেশীরভাগ নিরামিষাশী মানুষ ট্রেনের খাবার খান না। তাই সেই সব মানুষের কথা ভেবে কিছু ট্রেনকে সাত্ত্বিক সার্টিফাইড করতে চাইছে ভারতীয় রেল। মূলত যে ট্রেনগুলিতে তীর্থযাত্রী নিরামিষাশীদের সংখ্যা বেশি থাকে, সেখানেই এটি কার্যকর করা হবে বলে জানা গেছে।