সিবিআই (CBI), ইডি-র (ED) পরে এবার মেয়াদ বাড়তে চলেছে প্রতিরক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, RAW প্রধান ও আইবি (IB) প্রধানের। এই বিষয়ে রীতিমতো আইন সংশোধনের পথে হাঁটল কেন্দ্র। নয়া আইনে ২ বছর করে মেয়াদ বাড়তে চলেছে দেশের প্রতিরক্ষার দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন দপ্তরের কর্তাদের।
সোমবার একটি অধ্যাদেশ জারি করেছে কেন্দ্র। যেখানে জানানো হয়েছে, জনস্বার্থে ও নির্দিষ্ট প্রয়োজনে নতুন আইনে প্রতিরক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, RAW প্রধান ও আইবি প্রধানের মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে। সেই মেয়াদ বেড়ে আরও ২ বছর হতে পারে। তবে তা কখনওই দু’বছরের বেশি হবে না। মনে করা হচ্ছে, ইডি ও সিবিআইয়ের মতোই প্রতিরক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, র-প্রধান ও আইবি প্রধানের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিতে চলেছে কেন্দ্র।
রবিবার কেন্দ্রের তরফে জারি করা অধ্যাদেশে জানানো হয়েছিল, সিবিআই এবং ইডির আধিকারিকদের নির্ধারিত দু’বছরের মেয়াদ শেষে তা আরও একবছর করে তিনবার বাড়ানো যেতে পারে। তবে, ওই দুই তদন্তকারী সংস্থার শীর্ষপদে কেউ পাঁচ বছর পূরণ করে ফেললে আর তা বাড়ানো যাবে না। আরও বলা হয়, একমাত্র জনস্বার্থে ইডি এবং সিবিআইয়ের শীর্ষ আধিকারিকদের মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে। কেন বাড়ানো হল মেয়াদ, তা লিখিতভাবে জানাতে হবে। প্রতিরক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, RAW ও আইবি প্রধানের মেয়াদ বাড়ানোর অধ্যাদেশেও প্রায় একই ধরনের দাবি করা হয়েছে। এদিকে সোমবারই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ইডি ও সিবিআই প্রধানের ২ বছর থেকে ৫ বছর অবধি মেয়াদ বৃদ্ধিতে লিখিত অনুমতি দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, পর পর দু’ দিনে দেশের প্রতিরক্ষার দায়িত্বে থাকা অধিকাংশ কর্তার মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের পর মোদি সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ তোলার সুযোগ পাবে বিরোধীরা। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের বক্তব্য, এমনিতেই বিরোধীদের বহুদিনের অভিযোগ, ইডি, সিবিআইয়ের মতো তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করে থাকে মোদি সরকার। তারপর এভাবে আইন সংশোধন করে প্রতিরক্ষার দায়িত্বে থাকা কর্তাদের মেয়াদ বৃদ্ধি বিরোধীদের হাতে বড়সড় অস্ত্র তুলে দেবে।