যস্মিন দেশে যদাচার! দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে সামরিক লড়াইয়ের পর দ্বিতীয় বারের জন্য আফগানিস্তানের মসনদ দখল করেছিল তালিবান। কাবুলের মসনদে বসার পর থেকেই আফগানিস্তান জুড়ে তৈরি হয়েছিল ভয়ের পরিবেশ। সব থেকে বেশি আতঙ্কে ছিলেন সেদেশের মহিলারা। আগের তালিবান শাসনে সেদেশের মহিলাদের ওপর অত্যাচারের অনেক নজির ছিল তালিবানের বিরুদ্ধে।
এবার, তালিবানের লোলুপ দৃষ্টি থেকে বাদ পড়ল না সেদেশের পুরুষরাও। জানা গিয়েছে, কাবুলের আরজ়ান কিমত এলাকায় তালিবানের অন্তবর্তী সরকারের পরিচিত মুখ জেনারেল মোবিনের বিরুদ্ধে উঠেছে মারাত্মক অভিযোগ। জানা গিয়েছে এক তরুণকে ধর্ষণ করেছেন জেনারেল মোবিন। এই অভিযোগ সামনে আসার পর থেকে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন অনেকই। জানা গিয়েছে, অক্টোবর মাসের ২৯ তারিখ কাবুলের ১২ তম নিরাপত্তা জেলায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে ওই তালিবান সরকারের শীর্ষকর্তার বিরুদ্ধে। এখনও অবধি এই ধর্ষণের বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তালিবান শাসনে বারবার মেয়েদের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিছুদিন আগেই ছেলেদের স্কুল খোলার কথা ঘোষণা করলেও মেয়েদের স্কুল নিয়ে নিশ্চুপ ছিল তালিবান। শেষমেশ চাপের মুখে তালিবান মুখপাত্র জানিয়েছিল খুব শীঘ্রই মেয়েদের জন্য পৃথক স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি খোলা হবে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, আফগানিস্তানের মসনদের তালিবান থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতি একটু আলাদা। বিশ্বের বেশিরভাগ শক্তিধর রাষ্ট্রই নব গঠিত তালিবান সরকারকে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি। আগের তালিবান শাসনে মহিলাদের অধিকার খর্ব করা যে ইতিহাস তৈরি হয়েছিল, বর্তমানের সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি রুখতে আন্তর্জাতিক মহল ক্রমশ তালিবানের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। তাই সরকারের স্বীকৃতি আদায়ের সুবিধার্থে মেয়েদের নিয়ে নূন্যতম ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই তালিবানের। এখন মেয়েদের শিক্ষা লাভ নিয়ে আগামী দিনে কোন সিদ্ধান্তে পথে হাঁটবে তালিবান সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।