আগামী মাসেই বঙ্গ সফরে আসছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন হোক বা উপনির্বাচন, দুই ক্ষেত্রেই প্রধান বিরোধী দল হিসেবে এ রাজ্যে প্রতিষ্ঠা পেলেও কার্যত, তৃণমূলের জয়লাভের নিরিখে রীতিমতো বিধ্বস্ত বিজেপি। পদ্ম শিবির ছেড়ে তৃণমূলের পথে পা বাড়িয়েছেন একাধিক নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতে, বিভিন্ন সময়ে দলের কর্মীদের উপর শাসক শিবিরের সন্ত্রাসের অভিযোগ এনেছে পদ্মশিবির। এ বার, দলের কর্মীদের উপর শাসক শিবিরের অত্যাচারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক সারলেন সৌমিত্র খাঁ।

সূত্রের খবর, বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি হিসেবেই দিল্লি গিয়েছিলেন সৌমিত্র। নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকে মূলত রাজ্যের দলীয় কর্মীদের উপর হওয়া সন্ত্রাস ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে অনুরোধ করেন। রাজ্যের আসন্ন পৌরনির্বাচনকে মাথায় রেখে আগামী মাসেই অর্থাত্‍ ডিসেম্বরে বঙ্গ সফরে আসছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এমনটাই জানিয়েছেন নাড্ডা। একদিকে দলের কর্মীদের আস্থা জোগানো অন্যদিকে, পৌরপ্রচার দুই ক্ষেত্রেই বিশেষ নজর রয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এমনটাই জানা গিয়েছে।

তবে, বঙ্গে পুরভোটের আগে বিজেপি সাংসদ ও সর্বভারতীয় সভাপতির এই বৈঠক বিশেষ তাত্‍পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রাজ্যে দ্রুত পুরনির্বাচনের বরাবরই দাবি জানিয়ে এসেছে বিজেপি। তবে, আগামী মাসের বঙ্গ সফরে কোন কোন কেন্দ্রীয় নেতারা আসবেন বা কবে থেকে সফর শুরু হবে তা এখনও নির্দিষ্ট নয়।

কিছুদিন আগেই, রাজ্য বিজেপির অন্তর্কলহ মেটাতে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিকে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দলে থেকে কেউ দল বিরোধী মন্তব্য করলে দ্রুত তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর জন্য আলাদাভাবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অনুমতি নেওয়ার দরকার নেই বলেও বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছে এই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কিছুদিন আগেই, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মন্তব্য করায় হাওড়ার জেলা সভাপতি সুরজিৎ সাহার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করে রাজ্য বিজেপি। দল থেকে বহিষ্কার করা হয় সুরজিতকে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে পুরভোটকেই পাখির চোখ করছে পদ্ম শিবির এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। ফলে পুরনির্বাচনের ঠিক আগে আগে বঙ্গসফরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আগমনের নেপথ্যে দলের আভ্যন্তরীণ সাংগঠনিক পরিস্থিতিতেও বিশেষ নজরদারি দেওয়া হতে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.