শনিবার সুপ্রিম কোর্টে দিল্লির দূষণ বিষয়ক শুনানি চলাকালীন বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা এবং সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার মধ্যে। পরে অবশ্য তাঁরা বুঝতে পারেন যে আদতে ভাষাই এই বিভ্রান্তির মূলে আছে। এরপরই নাকি দুই জনেই অকপটে স্বীকার করেন যে তাঁরা ক্লাস ৮ থেকে ইংরেজি পড়া শুরু করে।
তুষার মেহতা খড় পোড়ানোর বিষয়ে একটি নথি জমা দেওয়ার সময় একটি ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়। পরে সেই ভুল বোঝাবুঝির জন্য তিনি ক্ষমা চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘কখনও কখনও যে ভাষায় আইনজীবী হিসাবে আমাদের কথা বলতে হয় তা একটি ভুল বার্তা তৈরি পেশ করতে পারে। তবে এটা আমার উদ্দেশ্য ছিল না।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
জবাবে, প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা বলেন যে তিনি এটিকে তাঁর নিজের ত্রুটি হিসাবে বিবেচনা করেন। তিনি জানান যে তিনি ‘খুব পরিশীলিত বক্তা’ নন। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত আমি খুব পরিশীলিত বক্তা নই মিস্টার মেহতা, এটাই আমার ত্রুটি। আমি ইংরেজি শিখেছিলাম ক্লাস ৮-এ।’ এরপর সলিসিটর জেনারেল বলেন যে তিনি নিজেও অষ্টম শ্রেণীতে ইংরেজি শেখেন এবং স্নাতক পর্যন্ত গুজরাতি মাধ্যমে পড়াশোনা করেছেন।
রিপোর্ট অনুসারে প্রধান বিচারপতি আরও জানিয়েছিলেন যে তাঁর স্কুলে পড়াশুনা তেলেগু মাধ্যমে হয়েছিল। তিনি শুধুমাত্র ইংরেজি মাধ্যমে আইন অধ্যয়ন করেন। পরে তুষার মেহতা বলেন, ‘আমি কখনই আমার এবং প্রধান বিচারপতির মধ্যকার এই মিলের কথা জানতাম না। আমি এটা নিয়ে সত্যিই গর্বিত।’