বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) দুবাইয়ের ময়দানে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাস বদলেরও সুযোগ ছিল বাবর আজমদের সামনে। টুর্নামেন্টের শুরুতে ভারতকে হারিয়ে অতীতের পরিসংখ্যান বদলে ফেলতে সক্ষম হয়েছিল পাকিস্তান, তবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে, সেটা সম্ভব হল না।
ম্যাচের প্রথম থেকে শেষ ওভারের আগে অবধি কোনো সময়ই পাকিস্তানকে দেখে মনে হয়নি যে তারা প্রতিযোগিতায় নেই, বরং ঠিক তার উল্টো। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের বেশিরভাগ সময়েই রাশ ছিল পাকিস্তানের দখলে। তবে একটা ক্যাচ পড়তেই ম্যাচের হাওয়া সম্পূর্ণভাবে বদলে যায় অস্ট্রেলিয়ার দিকে। যে ম্যাথু ওয়েডের ক্যাচ ফেলা হয়, সেই ওয়েডই পরপর তিনটি ছক্কা হাকিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ফাইনালে তোলেন। তাঁর ১৭ বলে ৪১ রানের ওপর ভর করেই পাঁচ উইকেট ও ছয় বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় অজিরা।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এই পরাজয়ের ফলে ফের একবার অতীতের ইতিহাস ফিরে আসল। এই নিয়ে দুই দলের আইসিসি টুর্নামেন্টের নক আউট পর্বে মুখোমুখি সাক্ষাৎ-এ পাঁচ বারের মধ্যে পাঁচ নম্বর বারই হারল পাকিস্তান। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের ক্ষেত্রে ১৯৮৭ সালের সেমিফাইনাল, ১৯৯৯ সালের ফাইনাল, ২০১৫ সালের কোয়ার্টার ফাইনাল ছাড়াও ২০১০ সালে বিশ ওভারের বিশ্বকাপে পরাজিত হয়েছিল পাকিস্তান।