রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয়কুমার ভাল্লা। শুক্রবার কলকাতায় আসছেন তিনি। রাজ্যের মুখ্যসচিব, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠক করবেন অজয়কুমার ভাল্লা। সে বৈঠকে আলোচনা হতে পারে সীমান্তের পরিকাঠামো নিয়ে।
কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র সচিব অজয়কুমার ভাল্লা শুক্রবারই কলকাতায় আসছেন। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি। বৈঠকে থাকবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা, ডিজি মনোজ মালব্যও। সূত্রের খবর, বেলা সাড়ে ১২টায় একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হতে চলেছে হিডকো ভবনে। এই বৈঠকে রাজ্যের সমস্ত সীমান্তবর্তী জেলার জেলাশাসক, পুলিশসুপারকেও ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, আলোচনায় উঠে আসতে পারে বিএসএফের এক্তিয়ার ১৫ কিলোমিটারই থাকবে নাকি ৫০ কিলোমিটার সে বিষয়ও। কারণ ৫০ মিটার নিয়ে আপত্তির কথা জানিয়ে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হতে পারে সে প্রসঙ্গও আরও একবার উঠতে পারে শুক্রবারের বৈঠকে। সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে এ নিয়ে বলতে পারেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব।
দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে সীমান্তরক্ষী বাহিনী অথবা বিএসএফ (BSF) কে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকার তিনটি রাজ্যে সীমানার ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত গ্রেফতার, তল্লাশি এবং বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা পাবে বিএসএফ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী পঞ্জাব, অসম এবং পশ্চিমবঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় বিএসএফ গ্রেফতার, তল্লাশি এবং বাজেয়াপ্ত করার কাজ করতে পারবে।
এ নিয়ে তুমুল রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীকে। পাশাপাশি সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিএসএফকে আমি সম্মান করি। কিন্তু, কিছু পলিটিক্যাল মানুষ ইচ্ছে করে সীমানায় ঝামেলা লাগানোর চেষ্টা করছেন। সবটাই পলিটিক্যাল ষড়যন্ত্র। আগে সীমানা বরাবর বিএসএফ ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ঘুরতে পারত। এখন তা বাড়িয়ে ৫০ করে দেওয়া হয়েছে। কেন? ” এখানেই না থেমে মমতা আরও বলেন, “আমাদের সীমান্তে সকলের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক। ভুটানের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক, বাংলাদেশের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক। কেন আমরা অকারণে ঝগড়া করতে যাব! একসঙ্গে সকলে মিলে মিশে থাকব। ইচ্ছে করে ভাগাভাগি করে ঝামেলা লাগানোর চেষ্টা করবেন না।”
যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছিলেন, এর ফলে চোরা চালানের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা যারা দেশের অভ্যন্তরের সুরক্ষাকে বড়সড় প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও এখন থেকে বিএসএফ সক্রিয় ভূমিকা নিতে পারবে।