আমাদের প্রত্যেকের শরীরে যেকোন রকম কাজকর্ম করার একটা নির্দিষ্ট সহ্য ক্ষমতা আছে।
আর শরীরে হরমোন, উৎসেচকের ভাণ্ডারটিও অফুরন্ত নয়।
আমরা যে খাবার খায়, তাতে আমাদের রক্তে সুগারের মাত্রা হুড়মুড় করে বাড়তে থাকে।
কিন্তু সুগার-কে বাড়তে দেয় না, ইনসুলিন নামক একটি হরমোন, যা আমাদের অগ্নাশয়ের ছোট্ট একটি অংশ “বিটা কোষ” থেকে তৈরী হয়।
জন্মের পর থেকে আমরা যত খাবার খেতে থাকি, “বিটা কোষ”-কে তত বেশী কাজ করতে হয় ইনসুলিন হরমোন তৈরী করার জন্য।
বেশী পরিমাণ খাবার খেলে, প্রয়োজনের তুলনায় বেশী কাজ করতে করতে করতে এই “বিটা কোষ” কাজের শক্তি হারিয়ে ফেলে ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
বিটা কোষের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে যায়।
এরপর বাচ্চা যদি মোটা হয়, শরীরে চর্বি জমে,
তবে ইনসুলিন হরমোন অল্পেতে কাজ করতে পারে না।
একটার বদলে দশটা ইনসুলিন প্রয়োজন হয় রক্তের সুগার কন্ট্রোলে রাখতে।
বিটা কোষের উপরে আরো চাপ পড়ে।
বাচ্চাকে যত খাওয়াবেন, যত বাচ্চার শরীরে চর্বি জমবে, বাচ্চার শরীর থেকে ইনসুলিন উৎপন্নকারী “বিটা কোষ” তত দ্রুত কমতে থাকবে, এবং একসময় বিটা কোষের ভাণ্ডার শেষ হয়ে যাবে।
ত্রিশ-চল্লিশ বছর পেরোতে না পেরোতেই মানুষ এখন সুগার, কোলেস্টেরলে আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে কেন, বুঝতে পারছেন?
অতএব বাচ্চাকে অতিরিক্ত খাওয়াবেন না।
অতিরিক্ত খেয়ে ( ধরুন গড় বাঙালী বাচ্চা প্রয়োজনের চেয়ে তিন গুন বেশী খাবার খেতে বাধ্য হয়) শরীরের প্রয়োজনীয় হরমোন- উৎসেচকের ভাণ্ডার অল্প বয়সেই শেষ হয়ে আসছে।
একটু-আধটু জোর হয়তো বাচ্চাকে খাওয়াতে গেলে করতেই হয়, কিন্তু কখনও খুব জোর করবেন না। বাচ্চা যত হালকা-পাতলা থাকে তত ভালো, বাচ্চার গুল্লু-মুল্লু বানানোর পিছনে ছুটবেন না, বাচ্চার সর্বনাশ করবেন না!
#বন্ধ_হোক_কৌটো_খাবার