আড়াই বছরের ব্যবধান। তারইমধ্যেই যেন কোথাও মিলে গেল ২০১৯ সালের ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ এবং ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। শুধু পালটে গেল চরিত্র। প্রায় আড়াই বছর আগে ক্যাচ ধরার পর বাউন্ডারিতে পা ঠেকে গিয়েছিল ট্রেন্ট বোল্টের। জিতে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। এবার কার্যত একই পরিণতি হল জনি বেয়ারস্টোর। আর ম্যাচ জিতে গেল নিউজিল্যান্ড।
বুধবার আবুধাবিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ১৭ তম ওভারের চতুর্থ বলে লং-অনের দিকে বড় শট মারেন নিউজিল্যান্ডের অল-রাউন্ডার জিমি নিশম। বেয়ারস্টো ক্যাচ ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাউন্ডারির বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে দেখে বল ঠেলে দেন ইংল্যান্ডের তারকা। রিপ্লেতে দেখা যায়, বাউন্ডারির বোর্ডে হাঁটু ঠেকে গিয়েছে বেয়ারস্টোর। তার ফলে ছয় রান যোগ হয় কিউয়িদের খাতায়।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
তারইমধ্যে সেই দৃশ্যে ২০১৯ সালের ‘ফ্ল্যাশব্যাক’ দেখতে পান নেটিজেনরা। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ ফাইনালে ৪৯ ওভারের চতুর্থ বলে মিড-উইকেট বাউন্ডারিতে বেন স্টোকের ক্যাচ ধরেছিলেন বোল্ট। কিন্তু তিনি যে গতিতে ছিলেন, সেজন্য বোল্টের শরীর বাউন্ডারির দিকে চলে গিয়েছিল। তা বুঝতে পেরে মার্টিন গাপ্টিলের দিকে বল ঠেলে দিয়েছিলেন বোল্ট। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছিল। বল হাতে থাকা অবস্থায় বোল্টের পা ঠেকে গিয়েছিল বাউন্ডারির অ্যাড বোর্ডে। বেন স্টোকসের যে ক্যাচটা ধরতে পারলে সম্ভবত বিশ্বকাপ ট্রফি অকল্যান্ডেই যেত। বুধবারও বেয়ারস্টো যদি ক্যাচ ধরতে পারতেন, তাহলে খেলার মোড় ঘুরে যেতে পারত। কারণ নিশমই ম্যাচের রাশ কিউয়িদের হাতে তুলে দেন। ১১ বলে ২৭ রান করেন। যিনি ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে সেই ৪৯ তম ওভার বল করেছিলেন।
সেই অভাবনীয় মিলে মজেছেন নেটিজেনরা। দুই ঘটনার মধ্যে এতটাই মিল যে মুখ খুলেছেন সচিন তেন্ডুরকরও। নিউজিল্যান্ডকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘বাউন্ডারির ধারে বেয়ারস্টোর যে ঘটনা ঘটেছে, তা ২০১৯ সালের বোল্টের সঙ্গে যা হয়েছিল, তা মনে করিয়ে দিল।’