কথা দিয়েছিলেন সাংসদ অভিনেতা দেব। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি এখনও পূরণ হয়নি। মাঝ পথে থমকে পড়ে রয়েছে বাড়ির কাজ। তবুও ভরসা হারাচ্ছেন না, দেবের উপরেই ভরসা রাখছেন দাসপুরের বাড়িহারা পান্তি পিসি।
কয়েক মাস আগের কথা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিধবা মহিলার বেহাল বাড়ির ছবি দেখে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিলেন ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী (দেব)। কিন্তু সেই বিধবা মহিলা পান্তি পিসির এখনও মাথার ছাদ তৈরি হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে শীতের মধ্যে একাকী বিধবা মহিলাকে দিন কাটাতে হচ্ছে স্কুলে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের সোনামুই এলাকার বাসিন্দা শিখা চক্রবর্তী স্থানীয়দের কাছে পান্তি পিসি নামেই পরিচিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ভাঙাচোরা বেহাল বাড়ির ছবি দেখার পরই সাংসদ দেবের নির্দেশে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে রামপদ মান্না শিখা চক্রবর্তীর বাড়িতে ছুটে যান।
শিখা চক্রবর্তীকে তিনি জানান যে, সাংসদ দীপক অধিকারী তাঁর বাড়ি তৈরির সমস্ত ব্যয় ভার বহন করবেন বলে জানিয়েছেন। এরপরই ভেঙে ফেলা হয় সেই ভগ্নপ্রায় বাড়িটি। নতুন বাড়ি তৈরির কাজও শুরু হয়।
কিন্তু কয়েক মাস আগেই আবার অর্থের অভাবে মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায় বাড়ি তৈরির কাজ। ফলে শীতের দিনে গৃহহীন পান্তি পিসি। একাকী বিধবা মহিলা দিন কাটাচ্ছেন স্কুলবাড়িতে।
পাড়া প্রতিবেশীরা চাইছেন যত দ্রুত সম্ভব ওই মহিলার বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হোক। তবে কবে কাজ আবার শুরু হবে? জানেন না পান্তি পিসি। যদিও শত কষ্টের মাঝেও আশা ছাড়ছেন না ওই মহিলা। তাঁর আশা, সাংসদ দেবের কাছে খবর পৌঁছালে নিশ্চয়ই তিনি দ্রুত তাঁর বাড়ি তৈরির ব্যবস্থা করে দেবেন।
অন্যদিকে এবিষয়ে ঘাটালের তৃণমুল সাংসদ দীপক অধিকারীর প্রতিনিধি রামপদ মান্নার দাবি,কিছু সমস্যা হয়েছিল। খুব দ্রুতই ওই মহিলার বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। যতই কষ্ট হোক এখন তাই দেবের মুখ চেয়েই আশায় দিন কাটাচ্ছেন দাসপুরে হতদরিদ্র পান্তি পিসি।