চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) শীতের আগেই সীমান্তে নিজেদের সেনা জওয়ানদের জন্য বিশেষ সুযোগ সুবিধা বরাদ্দ করেছে। জানা গিয়েছে, শীতকালে নাকি সীমান্তে ‘ছোট সংঘর্ষে’র আশঙ্কা করছে চিন। তাই আগেভাগেই প্রস্তুতি সেরে রাখল চিনা সেনা।
এই বিষয় নিয়ে অবগত পর্যবেক্ষকরা চিা সরকার পরিচালিত ট্যাবলয়েড গ্লোবাল টাইমসকে বলেন যে যদিও ‘শীতকালে বড় আকারের সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই, তবে চিন-ভারত সীমান্তে সময়ে সময়ে ছোট ছোট সংঘর্ষ ঘটতে পারে।’ পিএলএ নাকি সেই ‘সংঘর্ষে’র জন্য প্রস্তুত থাকা আবশ্যক বলে মনে করছে।
এর আগে কয়েকদিন আগেই মার্কিন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল যে লাদাখ সীমান্তে পরিকাঠামো বাড়াচ্ছে চিন। এদিকে গত ১০ অক্টোবর ভারত-চিন শান্তি আলোচনা ভেস্তে যায়। ভারতীয় সেনার প্রস্তাব খারিজ করে দেয় চিনের পিপল’স লিবারেশন আর্মি। এই আবহে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা দুই প্রান্তে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার সেনা জওয়ান মোতায়েন বর্তমানে।
অপরদিকে লাদাখের পাশাপাশি চিনের গতিবিধি বেড়েছে পূর্ব সেক্টরে অরুণাচল সীমান্ত বরাবর। জানা গিয়েছে, পূর্ব সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর টহল বাড়িয়ে পিএলএ। ভারত-চিন সীমান্তে চিনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের আনাগোনা বেড়েছে। লুংরো লা, জিমিথাং এবং বুম লা – এই তিন এলাকায় চিনের অতিরিক্ত গতিবিধি লক্ষ্য করেছে সেনা। চিনের তরফে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করা হলে তা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত ভারতীয় সেনাও।