মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীর সঙ্গে দাউদের লোকের যোগ, ‘প্রমাণ’ হাতে নিয়ে বললেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ।

মন্ত্রী নবাব মালিককে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের। বিজেপির দেবেন্দ্র আগেই বলেছিলেন, দীপাবলির পর বড়সড় ‘ধামাকা’ ঘটাতে চলেছেন তিনি। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে সে কথাই রাখলেন বলেও দাবি করেন। এদিন সকালে সাংবাদিক সম্মেলন করে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেন, এনসিপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিকের সঙ্গে আন্ডার ওয়ার্ল্ডের যোগাযোগ রয়েছে। এদিন হাতে করে সে ‘প্রমাণ’ও নিয়ে আসেন বিজেপি নেতা।

দিওয়ালির আগে নবাব মালিক অভিযোগ তুলেছিলেন, এ রাজ্যে দেবেন্দ্র ফড়নবিশের ইশারায় ড্রাগস র‌্যাকেট চলে। সে সময়ই পাল্টা দেবেন্দ্র বলেছিলেন, ‘দিওয়ালির আগে নবাব তো খালি ফুলঝুড়ি ফাটালেন। দিওয়ালির পর আমি বোমা ফাটাব। নবাব মালিক আমার উপর শুধু অভিযোগ এনেছেন। আমি নবাবের সঙ্গে অপরাধ জগতের যোগাযোগ কতটা সুদৃঢ় তা প্রমাণ-সহ আপনাদের জানাব।’

এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেন, “আমি আপনাদের বলেছিলাম কিছু বিষয় সামনে আনব। একটু সময় লেগে গেল। তবে আমি যা বলতে চলেছি, তা কোনও সেলিম-জাভেদের গল্প নয়। রাষ্ট্রের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগের বিষয়। ১৯৯৩ সালে মুম্বই বিস্ফোরণের সঙ্গে যাঁর নাম জুড়েছিল, তাঁর থেকে জমি কিনেছিলেন নবাব মালিক। কুর্লায় এলবিএস রোডে গোওয়ালা কমপাউন্ডে ২.৮০ একরের প্লট। যে প্রাইভেট লিমিটেডের নামে ওই জমি, তা নবাব মালিকের পরিবারের সঙ্গে যুক্ত। নবাবও ওই কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে মন্ত্রী হওয়ার পর ইস্তফা দেন। ওই জমি আন্ডার ওয়ার্ল্ডের লোকের কাছ থেকে কেনা হয়েছিল ৩০ লক্ষ টাকায়। মাত্র ২০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল।”

এরপরই ফড়নবিশ প্রশ্ন তোলেন, “আমার প্রশ্ন যখন এই চুক্তি হয়েছিল তখন তো আপনি মন্ত্রী ছিলেন। আপনি জানতেন না কে সেলিম পাটেল? কেন আপনি একজন অভিযুক্তের কাছ থেকে জমি নিলেন? কেন তারা কুর্লায় এলবিএস রোডের উপর তিন একর জমি ৩০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করল?”

কে এই সেলিম পাটিল?

সেলিম পাটিল প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেন, দাউদ ইব্রাহিমের লোক সেলিম। দাউদের বোন হাসিনা পারকরের গাড়ির চালক। হাসিনা পারকর গ্রেফতারির সময় সেলিমও গ্রেফতার হয়। দাউদ যখন বেপাত্তা হয়ে যায়, তখন হাসিনা পারকরের নামে যে সম্পত্তি তা সেলিমের নামেই জমা হতো। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি ছিল সেলিম পাটেলের নামেই। ফড়নবিশের দাবি, দাউদের পর সেলিমই সবকিছু ছিল।

সরাসরি আন্ডার ওয়ার্ল্ড যোগ

দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেন, “এটা আন্ডার ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে সরাসরি যোগ। যারা আরডিএক্স ভরেছিল গাড়িতে, বিস্ফোরণ ঘটাল, আপনি তাদের সঙ্গে ব্যবসা করলেন? আমি যথাযথ জায়গায় এই সমস্ত কাগজ পাঠাব। এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারকেও পাঠানো হবে। উনি জানুন, কেমন মন্ত্রী ওনার দলের।”

যদিও এরপরই নবাব মালিক বলেন, “বুধবারই দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে আন্ডার ওয়ার্ল্ড যোগের পর্দা ফাঁস করব। দেবেন্দ্র বলেছিলেন পটকা ফাটাবেন। কিন্তু সে তো ফুস হয়ে গেল। ভিজে গিয়েছে সেসব বাজি। ওতে আওয়াজ নেই। বুধবার সকালে আমি হাইড্রোজেন বোমা ফাটাব। আমি কোনও দিনই আন্ডার ওয়ার্ল্ডের কারও থেকে জমি কিনিনি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.