নারী সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ‘অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াডে’র প্রশংসায় যোগী আদিত্যনাথ।

আর মাত্র কয়েক মাস বাকি উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের। ভোটের হাওয়া গরম হতে শুরু করে দিয়েছে। জোর কদমে প্রচার চালাচ্ছে প্রতিটি শিবির। তৈরি হচ্ছে নীলনকশা। উত্তর প্রদেশে নিজেদের জমি আরও শক্ত করতে তৎপর যোগী আদিত্য়নাথ। আর এবার উত্তর প্রদেশে নারী সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াডের কথা তুলে ধরেন তিনি।

আজ উত্তর প্রদেশের বাদাউনে এই জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “২০১৭ সালে আমাদের সরকার তৈরি হওয়ার পর আমরা অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াডের সাহায্যে মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দিকে জোর দিয়েছি। আমরা রাজ্যে ১ লাখ ৫০ হাজার পুলিশ আধিকারিক নিয়োগ করেছি। এর মধ্যে ২০ শতাংশ পুলিশ আধিকারিককে নারী সুরক্ষা নিশ্চিত করার দায়িত্ব দেওয়া রয়েছে।”

পাশাপাশি, উত্তর প্রদেশের সরকার যে যথেষ্ট কৃষক দরদি , সেই কথাও তিনি তুলে ধরেন। জানান, উত্তর প্রদেশের ৮৬ লাখ কৃষকের বিশাল অঙ্কের ঋণ মকুব করে দিয়েছে যোগী সরকার।

একইসঙ্গে আগামী দিনে উত্তর প্রদেশ সরকারের ভবিষ্যৎ চিন্তাভাবনার কথাও তুলে ধরেন যোগী। বলেন, “দীপাবলি পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন দিয়েছে কেন্দ্র। এবার দীপাবলি থেকে হোলি পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন দেবে উত্তর প্রদেশ সরকার। এর আওতায় পরিবারে কতজন আছেন, তার উপর ভিত্তি করে ৩৫ কেজি খাদ্য শস্য, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি রান্নার তেল, এক কেজি চিনি, এক কেজি নুন দেওয়া হবে।”

যোগী আদিত্যনাথ আরও জানান, “আমরা বেআইনি কসাইখানা বন্ধ করে দিয়েছি। গোরু পাচার বন্ধ করে দিয়েছি।” একইসঙ্গে করোনা অতিমারির পরিস্থিতিতে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যপরীক্ষা, চিকিৎসা, রেশন এবং টিকা প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি।

বছর ঘুরতেই উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই বিভিন্ন ইস্যুতেই সরগরম উত্তর প্রদেশের রাজনীতি। কিছুদিন আগেই করোনা অতিমারির প্রসঙ্গ টেনে এনে বিরোধী দলগুলিকে খোঁচা দিয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেছিলেন, “করোনা সংক্রমণের মাত্রা যখন তুঙ্গে ছিল, তখন বিরোধী দল গুলির নেতারা বাড়িতে নিভৃতবাসে ছিলেন। বাইরে বেরিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তাঁরা অনুভব করেননি। ইটাওয়াহতে বিজেপির এক সভায় সমবেত কর্মীদের উদ্দেশে যোগীর আবেদন, করোনার সময় যেসব নেতারা বাড়িতে বসেছিলেন, কর্মীরা যেন নিশ্চিত করেন ভোটের পরও যেন তাঁরা বাড়ির বাইরে বেরোতে না পারে।”

তিনি বলেন “করোনা সংক্রমণের হার যখন সব থেকে বেশি ছিল আমি আপনাদের পাশে ছিলাম। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে সেই অতিমারির সময় ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে এবং করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আমি দু’বার এখানে এসেছি। কিন্তু অন্য দলের নেতারা তখন নিজেদের বাড়িতে নিভৃতাবাসে ছিলেন। তাই সঙ্কটে তারা যখন মানুষের পাশে ছিলেন না তখন নির্বাচনের সময়েও তাদের বাড়িতেই থাকা উচিৎ। তাঁরা যেন বাড়িতেই বসে থাকতে পারে সেই ব্যাপারটা আপনার নিশ্চিত করুন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.