কোচ হিসেবে সোমবারই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে নামিবিয়ার বিরুদ্ধে শেষ বার দায়িত্ব পালন করেন রবি শাস্ত্রী। ভারতীয় ক্রিকেটে শেষ হল শাস্ত্রী অধ্যায়। তাঁর জায়গায় বিরাট কোহলিদের কোচ হচ্ছেন রাহুল দ্রাবিড়। তবে শেষটা একেবারেই মধুর হল না রবি শাস্ত্রীর। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের ব্যর্থতার জন্য কোচ শাস্ত্রীর দিকেও আঙুল উঠেছে। ২০১৭ সালের ১৩ জুলাই ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। তার আগে ২০১৪ সাল থেকে ভারতীয় দলের ডিরেক্টর ছিলেন রবি।
নিজের বিদায়বেলায় ড্রেসিংরুমে প্লেয়ারদের পেপটক দিয়েছেন রবি শাস্ত্রী। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছেন, তাঁর সময়কালে ভারতীয় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে তিনি খুশি। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, দল হিসেবে ভারত যে ভাবে খেলেছে, তাতে রবি শাস্ত্রীর প্রত্যাশা ছাপিয়ে গিয়েছে। ড্রেসিংরুমে প্লেয়ারদের শেষ বার নিজের অনুভূতি শেয়ার করে নেওয়ার সময়ে শাস্ত্রী বলেন, ‘দল হিসেবে তোমরা যে ভাবে খেলেছো, তাতে আমার প্রত্যাশা ছাপিয়ে গিয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে গোটা বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটের সমস্ত ফর্ম্যাটেই সব দলকে হারিয়ে ভারত এখন অন্যতম সেরা দল।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এর সঙ্গেই চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার জন্য হতাশা প্রকাশ করলেও দলকে উদ্বুদ্ধ করতে রবি শাস্ত্রী বলেছেন, ‘এ কথা ঠিক যে, এটা আমাদের খুব ভাল টুর্নামেন্ট ছিল না। আমরা এক বা তার বেশি আইসিসি টুর্নামেন্ট জিততে পারতাম, কিন্তু তা হয়নি। তবে এটা গেম। সামনে আরও সুযোগ আসবে। তখন সতর্ক হয়ে, এখনকার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সাফল্য পেতে হবে।’
অস্ট্রেলিয়া থেকে ইংল্যান্ড- শাস্ত্রীর কোচিংয়ে সর্বত্রই দাপট দেখিয়েছে ভারত। বিশ্বের সব দলই ভারতকে সমীহ করে চলে। তবে ভারতীয় কোচ হিসেবে তাঁর সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা, তাঁর সময়কালে ভারত কোনও আইসিসি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। শাস্ত্রীর কোচিংয়ে সাফল্য-ব্যর্থতা সবটাই মিলেমিশে এসেছে। তাঁর কোচিংয়ে ভারত ৪৩টি টেস্ট খেলে ২৫টিতে জিতেছে। ১৩টি ম্যাচ হেরেছে। ৫টি ড্র হয়েছে। কোচ শাস্ত্রীর অধীনে ৭৬টি ম্যাচ একদিনের ম্যাচ খেলে ৫১টি জিতেছে ভারত। ২২টি ম্যাচ হেরেছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ক্ষেত্রে আবার তাঁর কোচিংয়ে ৬৫টি ম্যাচ খেলে ৪৩টি ম্যাচ জিতেছে ভারত। ১৮টি ম্যাচ হেরেছেন কোহলিরা। সব মিলিয়ে তাঁর সময় কালে মোট ১৮৪টি ম্যাচের মধ্যে ভারত ১১৯টি ম্যাচই জিতেছে ভারত। ৫৩টি ম্যাচ হেরেছে। ৫টি ম্যাচ ড্র হয়েছে।