করোনাভাইরাস টিকা জাইকোভ-ডি’র এক কোটি ডোজের বরাত দিল কেন্দ্র। যে টিকার তিনটি ডোজ দেওয়া হবে। সেই টিকার প্রতিটি ডোজ ২৬৫ টাকায় কেন্দ্র কিনবে বলে জাইডাস ক্যাডিলার তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিনের প্রথম দুটি ডোজ নয়, বিশ্বের প্রথম ডিএনএ-নির্ভর করোনা টিকা জাইকোভ-ডি’র তিনটি ডোজ প্রদান করা হবে। যদিও তিনটি ডোজের ব্যবধান বেশি হয়। প্রথম ডোজের ২৮ দিনের মাথায় দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া যাবে। তৃতীয় ডোজ মিলবে ৫৬ দিনের মাথায়।
সেইসঙ্গে কোনও সূচ বা সিরিঞ্জ ছাড়াই টিকা প্রদান করা হবে। আপাতত ভারতে যে টিকাগুলি প্রয়োগ করা হচ্ছে, তাতে সিরিঞ্জ দিয়ে গ্রহীতার শরীরে টিকা ঢোকানো হয়। কিন্তু জাইকোভ-ডি’র ক্ষেত্রে একটি বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে টিকা দেওয়া হবে। সেই যন্ত্রের নাম ‘ফার্মাজেট’। জিএসটি ছাড়া ডোজপিছু ‘ফার্মাজেট’-এর দাম পড়বে ৯৩ টাকা। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। কোভিশিল্ড আপাতত ২০৫ টাকায় কিনছে কেন্দ্র। প্রতি ডোজ কোভ্যাক্সিনের দাম পড়ছে ২১৫ টাকা।
এমনিতে গত ২০ অগস্ট জরুরি ভিত্তিতে ১২ ও তার ঊর্ধ্বে প্রয়োগের জন্য জাইকোভ-ডি’কে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ১২ থেকে ১৮ বছর বা ১৮ বছরের ঊর্ধ্বেও সেই টিকা প্রদান করা যেতে পারে। তবে এক কোটি ডোজ দিয়ে কাদের সেই জাইকোভ-ডি’র ডোজ প্রদান করা হবে, সে বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে কিছু জানানো হয়নি। বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে গুজরাতের সংস্থা জাইডাস ক্যাডিলাও। তবে সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর শারবিল প্যাটেল বলেছেন, ‘জাইকোভ-ডি’র মাধ্যমে সরকারের টিকাকরণ কর্মসূচিকে সাহায্য করতে পেরে আমরা খুশি। আমাদের আশা, সিরিঞ্জহীন টিকাকরণের মাধ্যমে আমরা আরও বেশি মানুষকে টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে উৎসাহ জোগাতে পারব। করোনাভাইরাস থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারবেন তাঁরা। বিশেষত শিশু এবং ১২ ও ১৮ বছরের গ্রুপে সেই সুরক্ষাবর্ম গড়ে উঠবে।’