কলকাতা পুলিশ অনুমতি দেয়নি। তবু পেট্রোল-ডিজেলে ভ্যাট কমানোর দাবিতে পথে নামল বিজেপি। আর শুরুতেই ছড়াল উত্তেজনা। ৬ মুরলীধর সেন লেনের সামনেই ব্যারিকেড করে পুলিশ। মিছিল সেই ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে গেলেই বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের চ্যাংদোলা করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। গ্রেফতার হন বেশ কয়েকজন। এনিয়ে প্রবল উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
পুলিশের বক্তব্য, এই মিছিলের জন্য বিজেপির কাছে কোনও অনুমতি নেই। দ্বিতীয়ত, কোভিডের কারণে এই জমায়েতে কোনও ভাবেই অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। বিজেপির বক্তব্য, পেট্রোপণ্যের উপর থেকে শুল্ক কমিয়েছে কেন্দ্র। এরপরই একাধিক রাজ্য নিজেদের ভ্যাটের পরিমাণও কমিয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ তা করেনি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, মানুষের স্বার্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে ভ্যাট কমাতেই হবে। তারই প্রতিবাদে এদিনের কর্মসূচি নেওয়া হয়।
কিন্তু মুরলীধর সেন লেনে বিজেপির রাজ্য দফতর থেকে মিছিল এগোতেই পুলিশের বাধার মুখে পড়েন দলীয় কর্মী সমর্থকরা। মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। বিজেপির সদর দফতরে প্রবেশের মুখে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। সেই ব্যারিকেড ভাঙতে গেলেই শুরু হয় ধস্তাধস্তিও। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ অবরোধের চেষ্টা করে বিজেপি। যদিও পুলিশের অতি সক্রিয়তায় তা সম্ভব হয়নি।
রীতেশ তিওয়ারি-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতাকে ইতিমধ্যেই প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়েছে। রীতেশ তিওয়ারির বক্তব্য, ‘বাংলার মানুষের স্বার্থে আমরা পথে নেমেছি। তাই গ্রেফতার হতে হচ্ছে। এরা ত্রিপুরায় গিয়ে বড় বড় কথা বলে। প্রতিদিন এক লাখ লোক বুর্জ খলিফা দেখত। তখন অতিমারি ছিল না। এখন করোনার কথা বলছে। এটা প্রমাণ হয়ে গেল বাংলার মানুষের স্বার্থে পথে নামলেই পুলিশ গ্রেফতার করবে’।