যতদিন যাচ্ছে সীমান্ত প্রসঙ্গে আরও কড়া অবস্থান নিচ্ছে ভারত ও চিন। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থাৎ এবারও শীতে দুই দেশের হাজার হাজার সৈনিক সীমান্তে ফরওয়ার্ড এরিয়ায় অবস্থিত থাকবেন অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে। লাদাখে স্থানীয় কম্যান্ডারদের মধ্যে কথায় বরফ গলবে, এমন সম্ভাবনা কার্যত নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। ফলে এখন সেই কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনায় কিছুটা কাজের কাজ হবে, এমনটাই আশা করা হচ্ছে।
পূর্ব লাদাখে গতবছরের এপ্রিল থেকে যে পরিস্থিতি, সেটা মেটার সম্ভাবনা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে। দুই দেশই পুরোদস্তুর প্রস্তুতি রাখছে নিজেদের তরফে। এরমধ্যে আছে সামরিক প্রস্তুতি, নজরদারি ও বিভিন্ন কসরত, প্রতিপক্ষকে বিশেষ বার্তা দেওয়ার জন্য। চার সপ্তাহ আগের ব্যর্থ আলোচনার পরেই এর গতি বেড়েছে। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
যতদিন যাচ্ছে সীমান্ত প্রসঙ্গে আরও কড়া অবস্থান নিচ্ছে ভারত ও চিন। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থাৎ এবারও শীতে দুই দেশের হাজার হাজার সৈনিক সীমান্তে ফরওয়ার্ড এরিয়ায় অবস্থিত থাকবেন অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে। লাদাখে স্থানীয় কম্যান্ডারদের মধ্যে কথায় বরফ গলবে, এমন সম্ভাবনা কার্যত নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। ফলে এখন সেই কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনায় কিছুটা কাজের কাজ হবে, এমনটাই আশা করা হচ্ছে।
পূর্ব লাদাখে গতবছরের এপ্রিল থেকে যে পরিস্থিতি, সেটা মেটার সম্ভাবনা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে। দুই দেশই পুরোদস্তুর প্রস্তুতি রাখছে নিজেদের তরফে। এরমধ্যে আছে সামরিক প্রস্তুতি, নজরদারি ও বিভিন্ন কসরত, প্রতিপক্ষকে বিশেষ বার্তা দেওয়ার জন্য। চার সপ্তাহ আগের ব্যর্থ আলোচনার পরেই এর গতি বেড়েছে।
চলতি বছরে দুইবার সীমান্ত থেকে সেনা কমিয়েছে দুই দেশ। কিন্তু এখনও প্রায় ৫০-৬০ হাজার সেনা আছে উভয়ের। আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী ধাপে ধাপে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার নিকটবর্তী জমিতে নিজেদের দাবি সুদৃঢ় করছে চিন। প্রাক্তন নর্থান আর্মি কম্যান্ডার ডিএস হুডার মতে সামরিক স্তরে এই অচলাবস্থা কাটবে না। এতে অসামরিক নেতৃত্বকে এগিয়ে আসতে হবে। তবে সেই সংক্রান্ত কথাবার্তায় উভয় দেশ কতটা ইচ্ছুক সেই নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ত্রয়োদশ দফার আলোচনায় ভারতের দেওয়া যাবতীয় প্রস্তাব খারিজ করে চচিন। অন্যদিকে নিজেরাও কিছু ঠিকঠাক প্রস্তাব দিতে পারেনি লাল ফৌজ। তারপরেই ট্যাঙ্কার নিয়ে অনুশীলন করে চিন ওই এলাকায়। গত সপ্তাহে জবাব দেওয়ার জন্য বিমান কসরত করে ভারত পূর্ব লাদাখে।
জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শ বোর্ডের সদস্য রিটায়ার্ড এলজি নরসিহ্মন মনে করেন যে এখনও আলোচনার জায়গা আছে যদি সীমান্তে শান্তি বজায় থাকে। সেনা প্রধান গত মাসেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে লাল ফৌজ যদি ওখানে বসে থাকতে চায় ভারতও বসে থাকবে। জায়গা ছেড়ে চলে যাবে না। ফলে অচলাবস্থা কাটার তেমন পরিস্থিতি নেই।
সেমাপ্রধান নারাভানে বলেছেন যে চিন ঠিক কী চায়, সেটা স্পষ্ট নয়। তবে তারা যাতে কোনও জায়গা দখল না করতে পারে, সেই বিষয়ে সদা সচেষ্ট ভারতীয় সেনা। ইতিমধ্যেই আবার শুধু লাদাখ নয়, অন্যদিকে অরুণাচল সীমান্তেও নিজেদের কারসাজি শুরু করেছে চিন। মার্কিন রিপোর্টে উঠে এসেছে যে তিব্বত ও অরুণাচলের মধ্যে তথাকথিত বিতর্কিত এলাকায় ১০০টি বাড়ি বানিয়ে গ্রাম নির্মাণ করেছে চিন।
পরোক্ষ ভাবে ফরওয়ার্ড এরিয়ায় নির্মাণ করা গ্রামগুলি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতীয় সেনাও। ইস্টার্ন আর্মি কম্যান্ডার মনোজ পাণ্ডে বলেছেন যে তাদের প্রস্তুতি ও প্ল্যানিংয়ে এই গ্রামগুলি ও যেভাবে দ্বৈত্য কাজে সেগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে সেটা তারা হিসেবে রাখছেন। পূর্ব সীমান্তে চোখে পড়ার মতো বেড়ে গিয়েছে লাল ফৌজের গতিবিধি। সেনাবাহিনীর কাজ পর্যবেক্ষণ করার জন্য মাঝেই মাঝেই বরিষ্ঠ অফিসাররা সেখানে আসছেন। অন্যদিকে লাদাখে এখনও হট স্প্রিং ও ডেসপাঙ্গে সমস্যা রয়েছে। সেখানে আগের মতো রুট মার্চ করতে পারছেন না ভারতীয় সেনারা। সবমিলিয়ে চিনের সঙ্গে সমস্যা এখনও জারি রয়েছে, সমাধানের কোনও ইঙ্গিত নেই।