প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ ও পশ্চিমবাংলা। একটি মুসলিম বহুল দেশ, আরেকটি হিন্দু বহুল রাজ্য, কিন্তু হিন্দুদের পরিস্থিতি প্রায় একই রকম।
সম্প্রতি বাংলাদেশে দেখা গেছে বাংলায় হিন্দুর সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব দূর্গা পুজোকে কেন্দ্র করে জেহাদি তান্ডব। মোদ্দা কথা দূর্গা পুজোকে কেন্দ্র করে হিন্দুদের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত হানার প্রয়াসের কোনো খামতি ছিল না মুসলিম বহুল বাংলাদেশে।
অনেকটা একই চিত্র দেখা গেলো হিন্দু বহুল পশ্চিমবাংলায় ও । ৬ই নভেম্বর, অর্থাৎ শনিবার দুপুরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার অন্তর্গত চাপবসান গ্রামে ঘটে ঘটনাটি দেখিয়ে দিলো কেন এই রাজ্যেও হিন্দুদের অবস্থা বাংলাদেশের মতোই।
কালী পূজার মণ্ডপের মাইকের আওয়াজে মুসলিমদের ঘোর আপত্তি। শুধু তাই নয় গ্রামের হিন্দু যুবকদের আয়োজিত কালী পূজার মণ্ডপে হামলা ও চালায় গ্রামেরই একদল মুসলিম দুষ্কৃতী। ভাঙচুর চালানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামেরই কয়েকজন যুবক মা কালীর পূজার আয়োজন করেছিলেন। ঠিক যখন, মণ্ডপ সজ্জা করেছিলেন তাঁরা এবং পুজোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন একদল মুসলিম দুষ্কৃতী মণ্ডপে হামলা চালায়। তাঁরা মণ্ডপের মাইক বন্ধ রাখার হুমকি দেয়। ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে শাসায় ও তারা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, আক্রমণকারীরা সকলেই গ্রামের বাসিন্দা। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রামবাসী জানান যে তাঁরা খুবই আতঙ্কে রয়েছেন। তাই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে পারেননি।
বাংলাদেশেও একই অবস্থা বিরাজ করছে, হিন্দুরা থানায় অভিযোগ করতে ভয় পান।
সম্প্রতি ফেসবুকে বাংলাদেশের দুর্গা পুজো প্রসঙ্গে একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। ওই ছবিতে বলা হয়েছে নামাজের সময়ে ঢাক বাজানো যাবে না, তাই পুজো মণ্ডপে দেওয়া হয়েছে নামাজের সময়সূচি। পোস্টে দেখা যাচ্ছে দুর্গাপুজো প্যান্ডেলের বাঁশের গায়ে একটি তালিকার মধ্যে ফজরের নামাজ, এশার সময় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং নিচে লেখা রয়েছে পুজো কর্তৃপক্ষের নাম – উত্তরা সার্বজনীন পূজা কমিটি ।
দেবতনু ভট্টাচার্য্য বলেন, “দুই বাংলায় চলছে সম্পূর্ণ ইসলামীকরণের চূড়ান্ত প্রস্তুতি এবং এই প্রয়াসকে রুখতে না পারলে বাংলাদেশে হিন্দুরা নিশ্চিহ্ন হবে ও পশ্চিমবঙ্গে আবার বাস্তুহারা
হবে ।”
সামাজিক মাধ্যমে অনবরত মন্তব্য ও পোস্ট করার মাধ্যমে সংগঠনের সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্য্য এই বিষয়টিকে তুলে ধরার মাধ্যমে পশ্চিমবাংলায় জনমত গড়ে তুলছেন।
এক টুইটার পোস্টে তিনি উল্লেখ করেছেন কিভাবে বর্তমান বাংলাদেশ রাজাকার মানসিকতার বেড়াজালে কিভাবে আরো আবদ্ধ হচ্ছে।
স্পষ্ট ভাষায় তিনি তাঁর বক্তব্য তুলে ধরেছেন,”বাংলাদেশে আসলে কি হচ্ছে? বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তান বানানো হচ্ছে। যতদিন বাংলাদেশের মাটিতে #বুৎপরস্তি অর্থাৎ মূর্তিপূজা চলতে থাকবে ততদিন সেই মাটি #নাপাক অর্থাৎ অপবিত্র। যতদিন এই মাটিতে আল্লাহ ব্যাতিত অন্য দেবতার পূজা হবে ততদিন সেই মাটি #শিরক পাপে জর্জরিত। এই মাটির উপরে ভজন, কীর্তন, ঢাকের আওয়াজ, ঘন্টা-কাঁসরের শব্দ প্রতিনিয়ত মোমিনদের #ঈমান নষ্ট করছে। তাই মূর্তি ভাঙতে হবে, #মুশরিক-দের যাতনা দিতে হবে, কাফেরদের বিতাড়িত করতে হবে। এভাবেই বাংলাদেশ হবে #পাকিস্তান অর্থাৎ পবিত্র স্থান। এটাই হচ্ছে বাংলাদেশ।”
এই ভয়াবহ মানসিকতার প্রতিফলন ও জেহাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার প্রজেক্ট
অর্থাৎ প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করার জন্য বিশ্বজুড়ে খিলাফত গঠনের জঘন্য পরিকল্পনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য তিনি ডাক দিয়েছেন।