গলায় হাঁটু গেড়ে বসে শ্বেতাঙ্গ পুলিশকর্মী। শ্বাসরোধের জেরে মৃত্যু হয় কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের। এপরই গোটা বিশ্ব তোলপাড় করে শুরু হয়েছিল ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলন। সেই সময় অনেকেই বলেছিলেন ‘অল লাইভস ম্যাটার’, অর্থাত্, সবার প্রাণই গুরুত্বপূর্ণ। জর্জের মৃত্যুর প্রায় দুই বছর পারের পরে আন্দোলন চলতে থাকলেও অবশ্য মানুষের অমানবিক চরিত্র বারংবার ফুটে উঠেছে এই সময়কালে। এই আবহে আমেরিকার মিনিয়াপোলিসের জর্জের সেই ঘটনার স্মৃতি উসকে দিল শহরের এক ‘গ্রিন পুলিশ’। সুদূর আমেরিকার ঘটনার স্মৃতি ফিরল কলকাতার এক্সাইড মোড়ে।
জানা গিয়েছে, ছিনতাইকারী সন্দেহে এক যুবককে ধরে এক গ্রিন পুলিশ। তারপর মাটিতে ফেলে সেই রোগাটে যুবককে পরপর লাথি মারা হয়। পরে বুকে পা চিপে দাঁড়িয়ে পড়েন গ্রিন পুলিশ। এই ঘটনার অভিযোগ উঠতে সমাজের বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি তথা রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের প্রাক্তন সভাপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘কোনও অপরাধিকে ধরতে গেলে ধস্তাধস্তি হতেই পারে। তবে পুলিশের থেকে এই নিষ্ঠুর আচরণ কাম্য নয়। এটা অমানবিক। ঘটনার ভিডিয়ো করা হয় বলেই পুলিশের এহেন আচরণ সামনে এল।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এদিকে এই বিষয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘পুরো ঘটনাটির বিষয়ে আমি জানি না। নির্দিষ্ট কোনও ফ্রেম দেখে কখনও কিছু বলাও যায় না। তবে এটা বলব, যাঁরা আইনরক্ষার কাজে নিয়োযিত, তাঁদের আইনবহির্ভূত কোনও কাজ করা উচিত নয়।’
এদিকে এই ঘটনায় সুর চড়িয়েছএ বিজেপি। বিরোধী দলের তরফে মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটেছে বলে সবাই এটার বিষয়ে জানতে পেরেছে। তবে গোটা রাজ্যের নিরিখে এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এই রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা এবং মানবাধিকারের পরিস্থিতি স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।’ ঘটনার নিন্দা জানান বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। তিনি বলেন, ‘জনৈক সিভিক পুলিশ অপরাধীসুলভ আচরণ করেছেন। মানুষের অধিকার হরণ করার সুযোগ কাউকে দেওয়া যায় না।’