১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা গায়েব! খোদ প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে এবার অভিযোগ জমা পড়ল বিডিও-র কাছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, মালদহের চাঁচলের খরবা গ্রামপঞ্চায়েতটি তৃণমূলের দখলে। এই পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা আনারুল হকের দাবি, ‘সরকার গরিব মানুষদের জন্য ১০০ দিনের কাজের ব্যবস্থা করেছে। সেই টাকায় আমাদের সংসার চলে। পঞ্চায়েত আমাদের কাজ করছেন না। আমাদের নামে টাকা তুলে নিচ্ছে। আমার টাকা পাচ্ছি না। ওদের বড় বড় বাড়ি হচ্ছে আর আমরা না খেয়ে মরছি’। খরবা পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপ প্রধানের বিরুদ্ধে বিডিও-র কাছে নালিশ জানিয়েছেন ওই পঞ্চায়েতেরই কংগ্রেস সদস্য, বিরোধী দলনেতা মুরতুজ আলম। তাঁর অভিযোগ, নিজেদের আত্মীয়, এমনকী সরকার কর্মচারীদের নামেও মাস্টাররোল বানিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন প্রধান ও উপপ্রধান। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র।
কী বলছেন অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান? মুখ খোলেননি তিনি। স্বামী মংলু শেখ অবশ্য বলেছেন, ‘এ গুলো মিথ্যা অভিযোগ। ভিত্তিহীন অভিযোগ। বিডিও ঘটনার তদন্ত করুক’। এই ঘটনায় তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির মালদহ জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল। তাঁর কথায়, ‘যেখানে তৃণমূল, সেখানেই দুর্নীতি’। দুর্নীতি হলে দল পাশে থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র শুভময় বসু।