‘রিগিং হয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনি বোঝেনি’, উপনির্বাচনে ফল নিয়ে প্রতিক্রিয়া অগ্নিমিত্রার।

দিনহাটা, খড়দহ, গোসাবা, শান্তিপুর উপনির্বাচনে কার্যত খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে বিজেপি। তিন কেন্দ্রে আবার জামানত জব্দ হয়েছে বিজেপির। আর এ নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় শাসক দলকে কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার সভাপতি তথা বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল।

তাঁর মন্তব্য, ভোট আবার হল কোথায়? পাশাপাশি তাঁর এও দাবি রিগিং হয়েছে। কিন্তু বুঝতে পারেনি কেন্দ্রীয় বাহিনী।


মঙ্গলবার চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস চারটি কেন্দ্রেই বড় ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের এই জয়কে কটাক্ষ করে আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘ইলেকশন হয়েছে কোথায়, ভোটিং হয়েছে কোথায়?’ তাঁর সংযুক্তি, ‘ভোট তো হয়নি। রিগিং করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী বুঝতে পারেনি। পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে রিগিং করেছে তৃণমূল।’


মঙ্গলবার দলীয় কর্মসূচিতে পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। সেখানেই তিনি বিধানসভা উপনির্বাচন নিয়ে এই মন্তব্য করেন। বলেন, “তিন কেন্দ্রে ছিলাম। যে সন্ত্রাস তৃণমূল করে চলেছে, শুধু শাসক দলের কর্মী নন পুলিশও বিরোধীদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। না হলে বলা হচ্ছে প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না। তাই বলার কী আছে, ইলেকশন তো হয়নি।”


এদিকে উপনির্বাচনের ফল নিয়ে হতাশ নন বলে জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তাঁর কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একা সাংসদ ছিলেন (তৃণমূলের)। সেখান থেকে তিনি ক্ষমতায় পৌঁছেছিলেন। সুতরাং, রাজনীতিতে হতাশা বলে কিছু হয়না। মমতার বোধহয় সে সময় ২৯ জন বিধায়ক ছিলেন। তাঁর চেয়ে আমরা ভাল জায়গায় আছি।”
 

তবে উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছেন বিজেপি সাংসদ। ৪-০ ফলে উপনির্বাচনে তৃণমূলের কাছে পর্যদুস্ত হয়ে বালুরঘাটের সাংসদের প্রতিক্রিয়া, শুধু চার কেন্দ্র নয়, রাজ্যজুড়ে যে অবস্থা চলছে তা ভোট করার উপযুক্ত নয়। উপনির্বাচনে চরম সন্ত্রাস হয়েছে বলে দাবি করে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি বলেন যেখানে ভোট নেই সেখানেও সন্ত্রাস হয়েছে। অন্যদিকে ফল নিয়ে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, “যেভাবে ভোট হয়েছে তাতে আগামী দিনে উপনির্বাচনে হলে তৃণমূল ১০০ শতাংশ ভোট পাবে।” দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, দিনাহাটায় একটি গাড়িও দেওয়া হয়নি। গোসাবায় বলা হচ্ছে, বাড়ি থেকে বেরাবেন না। খড়দহে প্রার্থী নিজে ভোট দিতে পারেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.