বাংলাদেশ জুড়ে সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে ফেসবুকে লেখালেখি করায় টার্গেট করা হচ্ছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের।
একই সঙ্গে, ওই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলে ফেললেন হাসিনা সরকারকে বিব্রত করতেই কিছু গণমাধ্যম সংখ্যালঘুদের ধর্ষণ, মৃত্যুর বানানো গল্প ছড়াচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিডিয়ার সঙ্গে কথোপকথনে এই দাবি করলেন যে কাউকে ধর্ষণ বা কোনো মন্দির ধ্বংস করা হয়নি। মিথ্যের ফুলঝুরি সাজিয়ে তিনি ও অস্বীকার করেন যে দুজন ইস্কনের ভক্তকে খুন করা হয়েছে।
তাঁর মতে দুজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী মারা গেছেন। তাদের একজনের স্বাভাবিক মৃত্যু এবং অন্যজন ডুবে মারা যান।
এদিকে দেশজুড়ে চলছে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে ধরপাকড় শুরু করা হয়েছে। মিডিয়া অবশ্য এই ব্যাপারে প্রায় নীরব বললেই চলে। এই পর্যন্ত্য ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তাঁরা ছিলেন অধ্যাপিকা রুমা সরকার (জাতীয় স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত), শোভন কুমার দাস (২৭), প্রান্ত সমাদ্দার (১৫), হৃদয় সরকার (২০), মহানন্দ বৈদ্য, জয় মন্ডল (২০), পরিতোষ হালদার (১৩), নরেশ কুমার দাস, রিপন দাস, বিষ্ণু ঢালী, অসিত বরন দাস ও আশিষ মল্লিক।
সূত্রের খবর, এদের মধ্যে দুজনের বয়স ১৩ ও ১৫। তাদের প্রাপ্তবয়স্ক দেখিয়ে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বেআইনিভাবে প্রকৃত বয়স গোপন করা হয়েছে তাদের। ধৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো হলো ধর্মানুভূতিতে আঘাত, সরকারকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা, উস্কানি দেয়া ইত্যাদি।
চোখের সামনে নিজ ধর্মের মণ্ডপ, প্রতিমা, মন্দির ধ্বংস হতে দেখলে; বাড়িঘর, দোকানপাট লুট হতে দেখলে প্রতিবাদ করে স্বাভাবিক । ক্ষোভ প্রকাশ করার জন্য উপরোক্ত ব্যক্তিদের আটক করা হয়েছে । এহেন পরিস্থিতিতে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনের অজুহাতে হিন্দুদের টার্গেট করার তোলা অভিযোগ আরো জোরালো হলো।