দেশের যে ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থনীতির স্বপ্ন দেখাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী, তা পূরণ করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন দেশের সমবায় সংস্থাগুলি। দেশের স্বনির্ভরতার স্বপ্ন পূরণ করতে, সমবায়গুলির থেকে ভাল পথ আর কিছু হতে পারে না। আজ গুজরাটের আনন্দে এক এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমনটাই বললেন দেশের সহকারিতা মন্ত্রী অমিত শাহ।
আজ আনন্দে আমুলের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা দিবসের এক অনুষ্ঠানে অমিত শাহ আমুলের ইতিহাসের কথা তুলে ধরেন। বলেন, “আমুল যখন শুরু হয়েছিল, তখন দিনে ২০০ লিটার দুধ প্রসেসিং করা হত। আর এখন তা বেড়ে তিন কোটি লিটার দুধ প্রতিদিন প্রসেসিং করা হচ্ছে। আমুলের হাত ধরে ৩৬ লাখ পরিবার নিজেদের রুজিরুটির ব্যবস্থা করছে।”
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই দেশের প্রথম সহকারিতা সম্মেলনে আয়োজিত হয়েছিল দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী ইনডোর স্টেডিয়ামে। গোটা দেশের প্রায় ২ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং বিশ্বের কয়েক কোটি মানুষ এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। একাধিক মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছিল এই অনুষ্ঠান।
দেশব্যাপী সহকারিতার মাধ্যমে সমৃদ্ধির পথকে আরও শক্তিশালী করার জন্য একটি পৃথক প্রশাসনিক, আইনি এবং নীতিগত কাঠামো তৈরি করতেই সম্প্রতি মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণে সহকারিতা মন্ত্রক নামক একটি নতুন মন্ত্রক চালু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই মন্ত্রকের প্রথম মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্ন দেখেছেন, তা পূরণে সহকারিতা মন্ত্রককে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশের অর্থনীতির বৃদ্ধিতেও আমাদের সদর্থক ভূমিকা পালন করতে হবে। আর তার জন্য সকলকে নতুন উদ্য়োগের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
দিল্লিতে যে সহকারিতা সম্মেলন আয়োজিত হয়েছিল, সেখানে মৎসজীবীদের জন্যও কো-অপারেটিভ সংস্থার পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন অমিত শাহ। জানিয়েছিলেন, জনজাতিদের জন্যও আলাদাভাবে কো-অপারেটিভ সংস্থা আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে। সহকারিতা আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী যে স্বপ্ন দেখেছেন, তা সফল করতে সর্বসমম্মতিক্রমে চেষ্টা করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে যে সহকারিতা মন্ত্রক তৈরি হয়েছে, তা সমস্ত রাজ্যের সঙ্গে সহযোগিতা বজায় রেখেই চলবে, কোনও রাজ্যের সঙ্গে বিরোধে জড়াবে না। অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘রাজ্যগুলিকেও বলছি, আপনাদের এই বিষয় নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। সরকারি প্রকল্পগুলিকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।’
উল্লেখ্য, দেশের ৫১ শতাংশ গ্রামেই ছোট-বড় কো-অপারেটিভ সংস্থা কাজ করে। প্রায় সাড়ে ৮ লাখেরও বেশি ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সংস্থা রয়েছে, ৬০ লাখেরও বেশি সরকারি সংস্থা রয়েছে। এছাড়াও সহায়তা ব্যঙ্ক রয়েছে, এই সংস্থাগুলির সাহায্যেই কৃষকরা উপকৃত হতে পারেন।