একটা সময় ৫২ সপ্তাহের সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গিয়েছিল। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে এক বছরে গোপালা পলিপ্লাস্টের প্রতিটি শেয়ারের দাম ৭৭২ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। অর্থাৎ এক বছরে সংস্থার প্রতিটি শেয়ারের দাম ১৭,০০০ শতাংশ বেড়েছে।
গত বছর ২৯ অক্টোবর গোপালা পলিপ্লাস্টের প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৪.৫১ টাকা। যা ৫২ সপ্তাহের সর্বনিম্ন স্তরে ছিল। সেখান থেকে চলতি বছরের ২৯ অক্টোবর বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে সংস্থার প্রতিটি শেয়ারের দাম ৭৭২ টাকায় ঠেকেছে। ১৯ অক্টোবর তো ওই সংস্থার প্রতিটি শেয়ারের দাম রেকর্ড ১,২৮৬.৯৫ টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল। পরবর্তী কয়েকদিনে আবার সংস্থার শেয়ারের দাম কিছুটা কমেছে। তা সত্ত্বেও কেউ যদি গত বছর ২৯ অক্টোবর গোপালা পলিপ্লাস্টে ১০০,০০০ (এক লাখ) টাকা লগ্নি করে থাকেন, তাহলে আজ পেতেন ১.৭১ কোটি টাকা।
তবে সেই সংস্থায় বিনিয়োগের আগে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের বক্তব্য, ‘পেনি স্টক’ (ছোটো সংস্থার শেয়ার) সাধারণ অত্যন্ত উত্থান-পতনের সাক্ষী থাকে। কখনও আচমকা বেড়ে যায় শেয়ারের দাম। কখনও আবার হুড়মুড়িয়ে পড়ে যায়। অর্থনীতিতে ‘যত দ্রুত উত্থান হয়, তত দ্রুত পতনের’ প্রবাদবাক্য এই ধরনের শেয়ারের ক্ষেত্রে প্রয়োজ্য হয়। সেই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধুমাত্র যে বিনিয়োগকারী ঝুঁকি নিতে চান, তাঁরা এই ধরনের শেয়ারে সামান্য কিছু টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন।
উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে গোপালা পলিপ্লাস্ট প্রতিষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন পণ্য বা সামগ্রীর (খাদ্যশস্য, সিমেন্ট, রাসায়নিক, সার, চিনির মতো দ্রব্য) প্যাকেজিংয়ের জন্য যে প্লাস্টিকজাত উপকরণ লাগে, তা তৈরি করে গোপালা পলিপ্লাস্ট। সংস্থার ৯২.৮৩ শতাংশ শেয়ার আছে প্রোমোটারদের হাতে। ব্যাঙ্ক অফ বরোদার পাঁচ শতাংশ শেয়ার আছে সেই সংস্থায়। মুনাফা বাড়লেও চলতি বছর জুন ত্রৈমাসিকে ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে। এবার দু’কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে সংস্থার। যা এক বছর আগের জুন ত্রৈমাসিকে ছিল ১.৪৬ কোটি টাকা।