কেরালায় হালাল বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মুখ এর্নাকুলামের অতি পরিচিত এন্টি – হালাল এক্টিভিস্ট তুষারা অজিত কাল্লাইলকে হালাল বিরোধের মাশুল গুনতে হলো ৷
হালাল মাফিয়ারা তাঁকে আক্রমণ করে শারীরিকভাবে নিগৃহীত করে ৷ তিনি অভিযোগ করেন হালাল মাফিয়ারা হিন্দুদের ব্যবসা বিপর্যস্ত করার জন্য তাঁকে টার্গেট করে ৷
তুষারা প্যালারিবত্তম অঞ্চলে নন্দু বাজ কিচেন নামে এক হোটেল খোলেন যেখানে তিনি হালাল বর্জিত খাবার পরিবেশন করেন ৷ তিনি প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন হালালের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ তাঁর এই সিদ্ধান্ত ৷ তুষারার মতে হালাল খাবার হিন্দু এবং শিখ সংস্কৃতির পরিপন্থী ৷ এছাড়া তাঁর ভোজনালয়ে আগেরদিনের খাবার পরিবেশন করা হয় না, কারণ অবশিষ্ট খাবার অনাথালয়ে পাঠানো হয় ৷
খুব কমদিনের মধ্যে তাঁর হোটেল খুব জনপ্রিয়তা অর্জন করে ৷ কমদিনের মধ্যেই তিনি কাককানারে নতুন প্রকল্প খোলেন ৷ তিনি বলেন গত সপ্তাহ থেকে তাঁকে হালাল মাফিয়ারা শাসাতে থাকে ৷ তাঁকে হালাল বর্জিত খাবার ও শুয়োরের মাংস সরবরাহ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয় ৷ তাদের কথায় পাত্তা না দিয়ে তুষারা নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন বলে মনস্থির করেন ৷
কদিন আগে ওই জায়গায় যেতেই জেহাদিরা তাঁকে আক্রমণ করে ৷ তাঁর কাপড় ছিঁড়ে দেয়া থেকে শুরু করে, বুকে ঘুসি মারা ও পেতে লাঠি মারা থেকে কিছুই বাদ দেয় নি তারা ৷ গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি রক্ত প্রস্রাব করেন ৷
কর্মচারীরা তাড়াতাড়ি রান্নাঘরের ছুরি নিয়ে এসে তাঁকে কোনোমতে বাঁচায় ৷ পুলিশের কাছে তিনি বিচার চাইতে গেলে পুলিশ উল্টো তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে তিনি হালাল বর্জিত খাবার বিক্রি করেন ৷ তাঁর স্বামী অজিতের বিরুদ্ধে পুলিশ মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে কেস দায়ের করে ৷