ঢাকা থেকে বাংলায় ঢুকতে চলেছে ইলিশ, কালীপুজো–ভাইফোঁটার আগে সংশয় কাটল

দুর্গাপুজোয় প্রতিমার উপর হামলা–সহ হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল বাংলাদেশে। তার রেশ আছড়ে পড়েছে ভারতে। এই পরিস্থিতিতে পদ্মাপার থেকে এপারে আসতে চলেছে রূপোলি ফসল। ঢাকা থেকে সেই খবর মিলেছে। ফলে কালীপুজো এবং ভাইফোঁটায় ইলিশের আধিক্য দেখা যাবে এপারের বাজারগুলিতে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এই খবর স্বয়ং ঢাকার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মিলেছে। এই ইলিশ–সম্প্রীতি অটুট রাখার বার্তায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের আধিকারিক তানিয়া ইসলামের স্বাক্ষরিত একটি নির্দেশ ঢাকার সচিবালয় থেকে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে উল্লেখ রয়েছে, ইলিশের প্রজননের মরসুম চলছিল। তাই ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশে ইলিশ ধরা, নিয়ে যাওয়া, বাজারে বিক্রি করা, সবই পুরোপুরি নিষিদ্ধ ছিল। সেই সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। তবে বাংলাদেশে ১১৫ জন ইলিশ রফতানিকারীকে ৪০ মেট্রিক টন করে ইলিশ ভারতে পাঠানোর ছাড়পত্র দিয়েছিল ঢাকা। ১০৮০ মেট্রিক টন গত ৪ অক্টোবরের মধ্যে এসে পৌঁছয়।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

দুর্গাপুজোর আগে এটাই ছিল জোগান। যা ফুরিয়ে এসেছে। এখানে পুজোর মরশুমে অনেকেই ইলিশ কিনতে পেরেছিল। কিন্তু ওপারের হিংসায় এপারের প্রতিক্রিয়ার পর ইলিশ ফের আসবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছেল। পুজোর পরে ইলিশ মেলা নিয়েই ছিল সংশয়। তবে আশ্বাস মেলায় সেই সংশয় কেটে গিয়েছে। এখন যত তাড়াতাড়ি আসে ততই মঙ্গল বলে মনে করছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা।

জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন ফিশ ইমপোর্টার্স বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রী মুনশী টিপুর কাছে আবেদন করেছিলেন। ইলিশ পাঠাতে অনুরোধ করেছিলেন। পরিবর্তে মিলেছে আশ্বাস। যার প্রেক্ষিতে ধরে নেওয়া হচ্ছে, আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে কিছু ইলিশ মিলবে। ১০০০ টন মতো ইলিশ ঢুকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আজ, বুধবার পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ইলিশ পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করতে পারে। আর বৃহস্পতিবার কলকাতা, শিলিগুড়ির বাজারে দেখা মেলার কথা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.