এখনও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) ছাড়পত্র পেল না কোভ্যাক্সিন। তবে সেই করোনাভাইরাস টিকাকে জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদন দেওয়ার জন্য ভারত বায়োটেকের থেকে ‘আরও কিছু’ উত্তর চেয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ কমিটি। তার ভিত্তিতে কোভ্যাক্সিনের সুবিধা ও ঝুঁকি নিয়ে চূড়ান্ত মূল্যায়ন করা হবে। আগামী ৩ নভেম্বর সেই মূল্যায়ন হতে পারে।
সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রশ্নের জবাবে হুয়ের তরফে বলা হয়েছে, ‘টেকনিকাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ আজ (২৬ অক্টোবর) আলোচনায় বসেছিল। জরুরি ভিত্তিতে বিশ্বব্যাপী টিকার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুবিধা ও ঝুঁকি নিয়ে চূড়ান্ত মূল্যায়ন করতে যে অতিরিক্ত উত্তর লাগবে, তা উৎপাদনকারী সংস্থার থেকে চাওয়া হয়েছে।’ সঙ্গে বলা হয়েছে, ‘চলতি সপ্তাহের মধ্যেই সেই জবাব চলে আসবে বলে মনে করছে টেকনিকাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ এবং সুবিধা ও ঝুঁকি নিয়ে চূড়ান্ত মূল্যায়নের জন্য ৩ নভেম্বর (বুধবার) আবার মিলিত হওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ’
মঙ্গলবার সন্ধ্যার কিছুটা পর (ভারতীয় সময় অনুযায়ী) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস জানিয়েছিলেন, কোভ্যাক্সিনের তথ্য খতিয়ে দেখছে টেকনিকাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ। যা একটি স্বয়ংশাসিত উপদেষ্টা কমিটি। কোনও টিকাকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হবে কিনা, সে বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ওই কমিটি সুপারিশ করে থাকে। মার্গারেট বলেছিলেন, ‘যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে এবং কমিটি সন্তুষ্ট হয় তাহলে ২৪ ঘণ্টা বা ওরকম সময়ের মধ্যে সুপারিশ প্রদানের আশা করছি।’ শেষপর্যন্ত অবশ্য মঙ্গলবারও পুরোপুরি সন্তোষ প্রকাশ করেনি বিশেষজ্ঞ কমিটি।
উল্লেখ্য, জরুরি ভিত্তিতে কোভ্যাক্সিন প্রয়োগের অনুমোদনের জন্য গত ১৯ এপ্রিল নথি পেশ করেছিল ভারত বায়োটেক। যে সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের (আইসিএমআর) সঙ্গে যৌথভাবে কোভ্যাক্সিন তৈরি হয়েছে। ভারত বায়োটেকের দাবি, উপসর্গ-যুক্ত করোনা আক্রান্তদের ক্ষেত্রে ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকরী হয়েছে কোভ্যাক্সিন। নয়া ডেল্টা প্রজাতির বিরুদ্ধে কোভ্যাক্সিনের ৬৫.২ শতাংশ কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি করা হয়।