আর্থার রোড জেলের সেল নাকি মন্নতের আলিশান রুম? বুধবার রাতটা ঠিক কোথায় কাটবে শাহরুখ পুত্র আরিয়ানের? এই চাপা উত্তেজনা সকাল থেকেই জারি ছিল। সন্ধ্যে নামতেই জবাব মিলল। না, মঙ্গলবারও জামিন মঞ্জুর হল না আরিয়ান খানের। এদিন বম্বে হাইকোর্টে বিচারপতি নীতিন সাম্বরের এজলাসে ৫৭ নম্বরে তালিকাভক্ত ছিল আরিয়ান খানের জামিনের আবেদনের শুনানি। বিকাল চারটের পর নম্বর আসে আরিয়ানের।
এদিন শাহরুখ পুত্রর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহাতগি। প্রায় দু-ঘন্টার ম্যারাথন সওয়াল-জবাব পর্ব শেষে আদালত আগামিকাল দুপুর ২.৩০ পর্যন্ত স্থগিত করে দেয় এই মামলার শুনানি। গত ২রা অক্টোবর গোয়াগামী এক প্রমোদতরীতে উঠবার আগেই এনসিবি কর্তাদের হাতে আটক হন আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্টরা। পরদিন তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। গত ২৪ দিন ধরে হেফাজতে রয়েছেন শাহরুখ পুত্র। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এদিন আরবাজ মার্চেন্টের হয়ে হাই কোর্টে সওয়াল করেন সিনিয়র আইনজীবী অমিত দেশাই। সেশন কোর্টে তিনি আরিয়ান খানের কৌঁসুলি ছিলেন। নির্দিষ্ট সময়ের পরেও নির্দিষ্ট তালিকাভুক্ত আবেদন শোনার জন্য নামডাক রয়েছে বিচারপতি নীতিন সাম্বরের, এদিনও কোর্টরুমের মাঝখানেই অপর আইনজীবীরা আপত্তি জানান এই মামলাকে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার জন্য। কড়া ভাষায় তার নিন্দা করেন বিচারপতি। তিনি স্পষ্ট জানান, আমি সকলকে তাঁদের পক্ষ রাখবার সমান সুযোগ দিই।
এদিন আরবাজ মার্চেন্টের আইনজীবী জানান, নিজ পক্ষ রাখতে ৪৫ মিনিট সময় লাগবে তাঁর, অপর দিকে এনসিবির তরফে এএসজি অনিল সিং জানান নিজের দলিল রাখতে কমপক্ষে তিনিও ৪৫ মিনিট সময় নেবেন। এরপই আগামিকাল পর্যন্ত এই মামলা স্থগিত করে দেন বিচারপতি।
আরিয়ানের তরফে মুকুল রোহাতগি আদালতকে জানান, আরিয়ান খানের কাছ থেকে কোনও মাদক উদ্ধার হয়নি, সে মাদক সেবন করেছে এমন কোনও প্রমাণও এনসিবির হাতে নেই। গ্রেফতারির পর আরিয়ান খানের মেডিক্যাল টেস্টও করা হয়নি, সেবন করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে- হাই কোর্টকে জানাল তাঁর কৌঁসুলি মুকুল রোহাতগি। কোনওরকম উপযুক্ত কারণ ছাড়াই আরিয়ান খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে দলিল তাঁর।
উল্লেখ্য, এদিন এই মামলার অপর দুই অভিযুক্ত, মণীশ গারহিয়া (Manish Garhiya) এবং অভিন সাহু (Avin Sahu)-র জামিন মঞ্জুর করেছে বিশেষ এনডিপিএস কোর্ট।