দেশের খোলা বাজারে ভোজ্য তেলের লাগামছাড়া দাম বাগে আনা ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে সরকারের জন্য। ভোজ্য তেলের দাম যাতে কম হয়, তা নিশ্চিত করার উপায় নিয়ে আলোচনা করার জন্য গতকাল কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে ২৩টি রাজ্য অংশ নেয়। রাজ্যগুলিকে ভোজ্য তেল এবং তৈলবীজ গুদামজাত করার ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিতে বলে ভোজ্য তেলের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে কেন্দ্র। আপাতত একমাত্র উত্তরপ্রদেশ ভোজ্য তেল এবং তৈলবীজ গুদামজাত করার ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়েছে। গুজরাত, রাজস্থান ও হরিয়ানাও এই পথে হাঁটতে চলেছে। তাছাড়া আরও নয়টি রাজ্য এই পদক্ষেপ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
সরকারের দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের দাম বাড়াতেই ভারতের বাজারেও তার প্রভাব পড়ছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার চেষ্টা করছে, যাতে তেলের দাম নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছে। আমদানি কর কাঠামোকে যতটা সম্ভব সংস্কার করা হচ্ছে। গোটা দেশে ভোজ্য তেল এবং তৈলবীজ গুদামজাত করার ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া হয়। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কোন গুদামে কত পরিমাণ ভোজ্য তেল এবং তৈলবীজ মজুত করা হবে, তা ঠিক করবেন সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারি প্রতিনিধি।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
কেন্দ্রের দাবি, তেল এবং তৈলবীজ গুদামজাত করার ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ার ফলে দেশের খোলা বাজারে ভোজ্য তেলের দাম অনেকটাই কমবে। ফলে লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির হাত থেকে রক্ষা পাবে আমজনতা। তবে রাজ্যগুলি এই সংক্রান্ত পদক্ষেপ নিতে দেরি করায় ভোজ্য তেলের দাম লাগামে আনা সম্ভব হচ্ছে না।