সংরক্ষণ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে সর্বভারতীয় অভিন্ন মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষার (নিট-স্নাতকোত্তর) কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া স্থগিত রেখেছে কেন্দ্র। এমনটাই জানিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি বিভি নাগরত্নার ডিভিশন বেঞ্চে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল কেএম নটরাজ জানিয়েছেন, যে মামলাটি দায়ের হয়েছে, তা নিয়ে আদালত কোনও পদক্ষেপ না করা পর্যন্ত কাউন্সেলিং শুরু হবে না।
গত ২৯ জুলাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, সর্বভারতীয় কোটা কর্মসূচির আওতায় স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরে সমস্ত মেডিকেল এবং ডেন্টাল কোর্সে (এমবিবিএস/এমডি/এমএস/ডিপ্লোমা/বিডিএস/এমডিএস) অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) জন্য ২৭ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। আর্থিকভাবে দুর্বল প্রার্থীদের জন্য আসন সংরক্ষণ করা হবে ১০ শতাংশ। যে নিয়ম ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকেই কার্যকর হবে। যে সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।
তারইমধ্যে শীর্ষ আদালতে আবেদনকারীদের তরফে ২২ অক্টোবরের নির্দেশিকা পেশ করা হয়। আবেদনকারীরা জানান, নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে যে ২৫ অক্টোবর থেকে সর্বভারতীয় অভিন্ন মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষার (নিট-স্নাতকত্তোর) কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু হবে। ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন এবং ন্যাশনাল বোর্ড অফ এগজামিনেশন জানিয়েছে যে আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে নয়া ‘লেটার অফ পারমিশন’ এবং স্বীকৃতিপত্র জারি করা হয়। যদিও কেন্দ্রের তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল জানিয়েছেন, গত ২২ অক্টোবর যে নোটিশ জারি করা হয়েছিল, তা প্রার্থীদের জন্য নয়। বরং আসন যাচাইয়ের জন্য কলেজগুলির জন্য দিয়েছিল কেন্দ্র। প্রার্থীদের উদ্বেগ দূর করতে ইতিমধ্যে সেই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের সেই আশ্বাসের পর কোনও রায় দেয়নি শীর্ষ আদালত। ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয়, ‘আপনার কথা মেনে নেওয়া হচ্ছে। (পুরো বিষয়টি) নিশ্চিত করুন। নাহলে পড়ুয়ারা ব্যাপক সমস্যায় পড়বেন।’ প্রত্যুত্তরে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল জানান, তিনি কথা দিচ্ছেন। সঙ্গে যোগ করেন, বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার আগে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারতেন আবেদনকারীরা।