আইপিএল-এর নতুন দু’টি দল আসতে চলেছে আমদাবাদ এবং লখনউ থেকে। আমদাবাদ পেয়েছে সিভিসি ক্যাপিটাল। লখনউ পেয়েছে আরপিজি গ্রুপ। দলের নাম এবং বাকি তথ্য পরে ঘোষণা করা হবে। এই প্রথম নয়, এর আগে দশ দলের আইপিএল হয়েছে। ২০১১ মরসুমে এখনকার আটটি দলের পাশাপাশি কোচি টাস্কার্স কেরল এবং পুনে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়াকে নেওয়া হয়। কিন্তু সেই মরসুমের শেষেই বোর্ডের নিয়ম লঙ্ঘন করায় সরে দাঁড়াতে হয় কোচিকে। ২০১৩ সালে বোর্ডের সঙ্গে আর্থিক বিবাদের জেরে সরে যায় পুনেও। তখন থেকেই আট দলের প্রতিযোগিতা হয়ে আসছে। এ বার থেকে ফের তা দশ দলের হতে চলেছে।
এই দশ দলের আইপিএল হওয়ার জন্য বিশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। প্রথমত খেলার সংখ্যা বাড়তে চলেছে। এবং খেলার নিয়মেও বেশ কিছু বদল দেখা যেতে পারে। বলা যেতে পারে নতুন দুই দল আইপিএল-কে বদলে দিতে বড় ভূমিকা পালন করতে চলেছে। আট দলের আইপিএল-এ এখন পর্যন্ত ৬০টি করে ম্যাচ খেলা হয়, কিন্তু এবার থেকে প্রতি আইপিএল-এ ৭৪টি করে ম্যাচ দেখা যাবে। অর্থাৎ ম্যাচের পরিধি বাড়তে চলেছে। প্রত্যেকটা দল সাতটা হোম ম্যাচ ও সাতটি অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে পারে। এর মানে টুর্নামেন্টটি ২০১১ সালে ব্যবহৃত ফর্ম্যাটে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
১০ টি দলকে দুটি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়েছিল। এবং প্রতিটি গ্রুপে ছিল পাঁচটি করে দল। কিন্তু একটি একত্রিত পয়েন্ট টেবিলে র্যাঙ্ক করা হয়েছিল। প্রতিটি দল তাদের গ্রুপে অন্য চারটি হোম এবং অ্যাওয়ে (আটটি ম্যাচ) খেলেছে, অন্য গ্রুপের চারটি দল একবার করে চারটি হোম এবং অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে। শেষবার আইপিএলে আটটির বেশি দল খেলেছিল ২০১৩ সালে এবং তখন নয়টি দল অংশ নিয়েছিল টুর্নামেন্টে এবং সেই সময় টুর্নামেন্টে মোট ৭৬ টি ম্যাচ খেলা হয়েছিল।
আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির সাথে তাদের রিটেন করার নীতির কোনও দৃঢ় বিবরণ এখনও প্রকাশ পায়নি। তবে এটি এখন জানা গেছে যে কোনও রাইট-টু-ম্যাচ কার্ড থাকবে না। স্থানীয় এবং বিদেশী মিলিয়ে একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি সর্বোচ্চ চারজন খেলোয়াড়কে ধরে রাখার অনুমতি দেওয়া হতে পারে। তবে সেই চার জনের মধ্যে কতজন স্থানীয় এবং বিদেশী খেলোয়াড় থাকবে তার কোনও বিবরণ দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছে এমন দুটি নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি একটি খসড়া পদ্ধতির মাধ্যমে নিলামের আগে সমান সংখ্যক খেলোয়াড় কিনতে পারবে।
ফের আইপিএল দলের মালিক হিসেবে দেখা যেতে চলেছে সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে। নতুন দল কেনার জন্য সোমবার সব থেকে বেশি দাম দিয়ে বিড করেছে তাঁর সংস্থা আরপিজি গ্রুপ। নিলামে প্রায় ৭০৯০ কোটি দাম দিয়েছে তারা। আরপিজি গ্রুপ ছাড়াও আইপিএল-এ অপর দলটি কিনতে চলেছে আন্তর্জাতিক সংস্থা সিভিসি ক্যাপিটাল। তাদের বিড ৫৬০০ কোটি টাকার। অর্থাৎ দুই সংস্থা মিলিয়ে ১২,৬৯০ কোটি টাকা ঢুকতে চলেছে বোর্ডের ঘরে। এ-ও জানা গিয়েছে, আইপিএল-এর নতুন দু’টি দল আসতে চলেছে আমদাবাদ এবং লখনউ থেকে। আমদাবাদ পেয়েছে সিভিসি ক্যাপিটাল। লখনউ পেয়েছে আরপিজি গ্রুপ। দলের নাম এবং বাকি তথ্য পরে ঘোষণা করা হবে।