সারদা মামলা: জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৃণমূলের হেভিওয়েটদের তলব করতে চলেছে সিবিআই

সারদা মামলা তদন্তে শুক্রবার থেকে তৃণমূলের দলীয় পদাধিকারীদের ডেকে পাঠাতে চলছে সিবিআই। তৃণমূলের কোনও প্রভাবশালীর কাছে মোটা অঙ্কের টাকা সারদার তরফে পৌঁছেছিল কি না, তা জানাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উদ্দেশ্য। সূত্রের খবর, এই জন্যই শুক্রবার থেকে দলের হেভিওয়েটদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠাতে পারে সিবিআই।

সিবিআই-এর তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই এই মামলার তদন্তের স্বার্থে সুব্রত বক্সির সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে সাহায্য করেছেন তিনি। তবে সারদা কাণ্ডের সময় তৃণমূলের অন্যতম ছিলেন বর্তমানে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায়। সূত্রের খবর, এ বার সারদা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকেও ডেকে পাঠাতে চলেছে সিবিআই। এ ছাড়াও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফে নোটিস পাঠানো হয়েছে দীনেশ ত্রিবেদী, ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং তমোনাশ ঘোষকে।

মুকুল রায় জানিয়েছেন, এর আগেও তদন্তে তিনি সিবিআইকে সহযোগিতা করেছেন। ডাকলে আবারও যাবেন। অন্যদিকে তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ড্রেক ও’ব্রায়েনকে এর আগেও ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সংসদ চলছে, সে কথা জানিয়ে হাজিরা দেননি তিনি। তৃণমূল সূত্রে খবর, একই কারণে এই বারেও সম্ভবত তাঁর আসা হবে না। অন্যদিকে বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ দাবি করেছেন, সিবিআই-এর তরফে কোনও নোটিস তিনি পাননি।

কিন্তু হঠাৎ করে সারদা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৃণমূল পদাধিকারীদের ডাকতে মরিয়া কেন সিবিআই?

সিবিআই-এর এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিকের দাবি, সারদা তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে গিয়েছে। পুজোর আগেই চূড়ান্ত চার্জশিট দিতে চায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আর তাই এই তৎপরতা। সারদার টাকা আদপেও প্রভাবশালীদের হাতে পৌঁছেছিল কি না তা জানাই এখন সিবিআই-এর মূল লক্ষ্য। এ ছাড়াও রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে কারা প্রভাব খাটিয়ে সারদা-সহ অন্যান্য বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থাগুলিকে আমানতকারীদের থেকে টাকা তুলতে সাহায্য করেছিলেন, সেটাও জানতে চায় সিবিআই। সূত্রের খবর, পুজোর আগেই সারদা মামলার চার্জশিট তৈরি করে দিল্লির সদর দফতরে পাঠাতে পারে সিবিআই। এমনকী দিওয়ালির আগেই আদালতেও জমা পড়তে পারে চার্জশিট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.