পূর্ব বর্ধমানে রাইস মিলের সরকারি চাল বিক্রির অভিযোগের পর এবার সীতারামপুরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় সরকারের গোডাউন থেকে আসা গম আসানসোলের বিভিন্ন ফ্লাওয়ার মিলে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, আসানসোল সীতারামপুরের কেন্দ্রীয় সরকারের খাদ্য নিগমের গোডাউন থেকে পূর্ব বর্ধমানের উদ্দেশে বেরিয়ে আসা গম আসানসোলে ADDA ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটে অবস্থিত এক ফ্লাওয়ার মিলে বিক্রি করা হচ্ছে। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের খাদ্য নিগমের পূর্ব বর্ধমানের ডিসি আবির বালি টেলিফোনে বলেন, তিনি ইতিমধ্যে এঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন।
আবির বালি জানান, সীতারামপুর গোডাউন থেকে পূর্ব বর্ধমানের জন্য কত গম উঠেছে? ট্রাক নম্বর অনুযায়ী তার লিস্ট তিনি চেয়েছেন। তার মধ্যে যদি কোনও ট্রাক কোনও ফ্লাওয়ার মিলে যায়, তবে তা কেন গিয়েছে? তার খবরও তিনি নেবেন। অন্যদিকে, আসানসোলে কল্যাণপুর স্যাটেলাইট ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটে অবস্থিত যে ফ্লাওয়ার মিলের বাইরে ট্রাকগুলো সার দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল, সেই ফ্লাওয়ার মিল কর্তৃপক্ষ দাবি করেন, গম ওজন করার জন্য এসেছে ট্রাকগুলি। গম বস্তাভর্তি মোট ২১টি ট্রাক ফ্লাওয়ার মিলের সামনে দাঁড়িয়েছিল।
এবিষয়ে রাজ্য সরকারের খাদ্য নিগমের পশ্চিম বর্ধমান জেলার ডিসি সঞ্জীব হালদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনিও জানান, এই গম তাদের নয়, গমটা পূর্ব বর্ধমানের। প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বরে পশ্চিম বর্ধমান জেলার চাল যা পূর্ব বর্ধমান থেকে আসছিল, তা গলসিতে এক রাইস মিলে যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে গ্রামবাসীরা তা ধরে ফেলে ও পুলিসের হাতে তুলে দেয়। সেই ঘটনার তদন্ত চলছে। এখন নতুন করে গম বিক্রির বিষয় সামনে আসায় নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য খাদ্য নিগম।
আসানসোলের মহুকুমা শাসক অভিজ্ঞান পাঁজাও বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নেবেন বলে জানিয়েছেন। ওদিকে সীতারামপুর গোডাউন আধিকারিক অরবিন্দ কুমার এক্কার বক্তব্য, মোট ১০৭ ট্রাক গম বের হয়েছে। যার মধ্যে ৭৮ ট্রাক পূর্ব বর্ধমানের, ১৬ ট্রাক পশ্চিম বর্ধমানের আর ১৩ ট্রাক ডিডি আরের।