পরিসংখ্যান বলছে গড়ে বছরে ৪১৩ বার হিন্দুরা আক্রান্ত হন বাংলাদেশে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের রিপোর্ট বলছে গত ৯ বছরে হিন্দুদের উপর ৩,৬৭৯ বার আক্রমণ হয়েছে। হিন্দু নিধন উৎসবে জমজমাট দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম মুসলিম দেশ বাংলাদেশ।
বাঙালির সেরা উৎসব দূর্গা পুজোর (Durga Puja) সময় যখন এই করোনা কালেও যখন ক্ষনিকের আনন্দের সন্ধান করছিলো বাঙালিরা , ঠিক তখনই বাংলাদেশে মুসলিমদের আক্রমণে বিবর্ণ হয়ে গেলো বাঙালির সেরা উৎসব দূর্গা পুজো।
অক্টোবরের ১৩ তারিখ অর্থাৎ মহা অষ্টমীর দিন থেকে ১৭ অক্টোবর অর্থাৎ দ্বাদশীর দিন পর্যন্ত মুসলিমদের হাথে অমানুষিক ও অমানবিক নির্যাতনের শিকার হলেন বাঙালিরা। খোদ নিজেদের দেশ বাংলা প্রকৃত অর্থে বাংলা সংস্কৃতির ধারক ও বাহকরাই আজ সংখ্যালঘু।
মুসলিমরা বাংলাদেশের কুমিল্লা , চট্টগ্রাম , কক্সবাজার , চাঁদপুর , লক্ষীপুর , নোয়াখালী , খুলনা , গাজীপুর , বন্দরবনি , আন্দরকিল্লা , ঢাকা , বেগমপুর , হাটহাজারী , বাঁশখালী , বরিশাল , গৌরনদী , মুন্সীগঞ্জ , ফেনী , চৌমুহনী, রংপুর , পীরগঞ্জ প্রভৃতি জায়গায় ব্যাপক আক্রমণ চালায় বাঙালিদের (হিন্দু) উপর।
সূত্রের খবর প্রায় ৩০০ টি পুজো মণ্ডপ ধূলিস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে গোটা বাংলাদেশ জুড়ে এই সময় কালে এবং ইসলামিক রীতি ও নীতি মেনে প্রায় ৩৫০ মন্দিরও ভাঙা হয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় এই সময় কালের মধ্যে আক্রান্ত হয় ইস্কন, রামকৃষ্ণ মিশনের, রাম ঠাকুরের, দূর্গা , কালী ও রাধাকৃষ্ণের মন্দির।
গত আট বছরেই বাংলাদেশে মুসলিমদের হাতে মন্দির আক্রমনের ঘটনা ঘটেছে ১,৬৭৮ বার।