সেঞ্চুরি করতে সময় লেগেছে পাক্কা ন’মাস। কিন্তু টিকাকরণে ভারত ডবল সেঞ্চুরি করবে তার অর্ধেকেরও অনেক কম সময়ে। দেশে করোনাভাইরাসের টিকাকরণ সংক্রান্ত প্যানেলের প্রধান এন কে অরোরা জানিয়েছেন আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই কেন্দ্র দেশবাসীকে আরও ১০০ কোটি টিকা দিতে পারবে।
বৃহস্পতিবারই দেশ ১০০ কোটি টিকাকরণের লক্ষ্যপূরণ করেছে বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে ১০০ কোটি টিকা যে আদতে দেশের ১০০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া নয়— সে কথা হিসেব কষে জানিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা। এমনকি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কেন্দ্র দেশের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ককে টিকা দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। এরই মধ্যে কেন্দ্রের টিকা প্যানেলের প্রধান জানালেন ১০০ কোটি টিকা দিতে ইতিপূর্বে ন’মাস সময় লেগেছিল ঠিকই, কিন্তু পরবর্তী ১০০ কোটি টিকাকরণ সম্পূর্ণ হবে তিন-চার মাসের মধ্যে। অর্থাৎ আগের বারের প্রায় এক তৃতীয়াংশ সময়ে।
সম্প্রতি এনডিটিভিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে আরোরাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বছর শেষের আগে দেশের প্রাপ্তবয়স্কদের সম্পূর্ণ টিকাকরণ হবে কী করে? জবাবে আরোরা বলেন, ‘‘৩১ ডিসেম্বরের আগেই প্রাপ্তবয়স্কদের অন্তত একটি টিকা দেওয়া হবে। পরের চার-ছয় সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় টিকাও দেওয়া হয়ে যাবে। এই মুহূর্তে কেন্দ্রের টিকাকরণ সংক্রান্ত যা পরিকাঠামো তাতে আগামী তিন মাসে ৮০- ৯০ কোটি টিকা দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ হবে। জানুয়ারির শেষ অবধি আরও ১০০ কোটি টিকা দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ করা যাবে বলে আমরা নিশ্চিত।’’
যদিও বিরোধীরা বলছেন, খাতায়কলমে ১০০ কোটি টিকাকরণ হলেও আসলে দু’টি টিকা পেয়েছেন মাত্র ২৯ কোটি। একটি টিকা পেয়েছেন ৭১ কোটি দেশবাসী। আর একটি টিকাও পাননি ৩২ কোটি মানুষ। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের ১০০ শতাংশ টিকাকরণে প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য হাতে সময় রয়েছে মাত্র ৭০ দিন। এমতাবস্থায় লক্ষ্য পূরণ করতে হলে প্রতি দিন দেড় কোটির বেশি টিকা দিতে হবে।