আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী আবদুল সালাম হানাফির নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের তালিবান প্রতিনিধি দল বুধবার মস্কোতে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। সেই বৈঠকের সময় নাকি ভারতীয় পক্ষ জানায়, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য তারা প্রস্তুত।
বিদেশ মন্ত্রকের পাকিস্তান-আফগানিস্তান-ইরান বিভাগের যুগ্ম সচিব জেপি সিংয়ের নেতৃত্বে ভারতীয় প্রতিনিধিদল রাশিয়ার আমন্ত্রণে মস্কো ফরম্যাট বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিল। এই প্রতিনিধি দলই তালিবান নেতাদের সঙ্গে আলোচনা বসে। সম্মেলনের মাঝে ভারত-তালিবান বৈঠকের বিষয়টি বিবৃতির মাধ্যমে জানান তালিবান মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ। জবিহুল্লাহ বলেন, ‘উভয় পক্ষ একে অপরের উদ্বেগ মেটানো এবং কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করা প্রয়োজনীয় বলে মনে করে।’ যদিও বৈঠক সম্পর্কে অবগত ব্যক্তিরা দাবি করেন যে তালিবানের এই বক্তব্য আলোচনার পূর্ণ এবং সঠিক প্রতিফলন নয়।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এর আগে, ১০টি দেশের কূটনীতিক এবং তালিবানের প্রতিনিধি দল আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা প্রদান এবং আফগান মাটি থেকে সন্ত্রাস মোকাবিলার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিল। মস্কোর বৈঠকের পর জারি করা একটি যৌথ বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় যে ‘আফগান ভূখণ্ড তার প্রতিবেশী বা বিশ্বের কোনও দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যাবে না।’ উল্লেখ্য, এর আগেও এই ‘প্রতিশ্রুতি’ দিয়েছিল তালিবান। ভারতের সঙ্গে বৈঠকের পর সেই ‘প্রতিশ্রুতি’ পুনরায় নিশ্চিত করে তালিবান। আফগানিস্তানে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর কার্যকলাপে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারত-তালিবান, উভয় পক্ষই জানায়, আফগানিস্তানে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কাজ জারি রাখা হবে।
১০টি দেশই তালিবান নেতৃত্বকে শাসন ব্যবস্থার উন্নতি এবং সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের জন্য আরও পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। তারা তালিবানকে ‘মধ্যপন্থী এবং সঠিক অভ্যন্তরীণ ও বিদেশ নীতি চর্চা, আফগানিস্তানের প্রতিবেশীদের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ নীতি অবলম্বন করতে এবং জাতিগত গোষ্ঠী, নারী ও শিশুদের অধিকারের প্রতি সম্মান দেখানোর আহ্বানও জানিয়েছে।