বৃহস্পতি বার লোকসভায় পাশ হল তিন তালাক বিল। এই বিল পাশ হওয়া নিয়ে বহুদিন ধরেই সর্বদলীয় চাপানুতর চলছিল। অবশেষে আজ এই বিল পাশ হল। এই বিল অনুসারে তিন তালাক দেওয়ার অপরাধে একজন পুরুষের কারাদণ্ড হতে পারে।
তিন তালাক পাশ হওয়ার পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন বাংলার সাহিত্যিক আবুল বাশার।
তিনি বলেন, “তালাক নিষিদ্ধ হলে আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হব।” বহুদিন ধরেই তিনি তিন তালাকের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছিলেন। তিনি মুসলিম ধর্মে তিনবার পরপর তালাক বলে ডিভোর্স দেওয়ার রীতির বিরোধীতা করেছেন তাঁর বিভিন্ন লেখায়। আবুল বাশারের প্রথম উপন্যাস ‘ফুল বউ’ প্রকাশিত হয় আনন্দ পাবলিশার্স থেকে। সেই উপন্যাসেই বাশার তিন তালাকের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার লোকসভায় তিন তালাক বিল পাশ হওয়ার পর সাহিত্যিক আবুল বাশার বলেন, “এটা আমার সারা জীবনের লড়াই। আমার সমগ্র সাহিত্য তো তিন তালাক নিয়মের বিরধীতা করেছে! মুসলিম নারীর বেদনার কথায় আমার লেখার মধ্যে দিয়ে তুলে ধরতে চেয়েছি।” তাঁর সারা জীবনের লড়াই বেশির ভাগ সময়টাইয় তিনি ছিলেন একা। পরে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন কেউ কেউ।
বাশার বাবুর কথায়, “একটা সময় আমি একা ছিলাম। কেউ পাশে ছিল না। সাহিত্যের ভেতর দিয়ে সেই আকাঙ্ক্ষা আমি জাগিয়ে তুলেছিলাম।” মুসলিম সমাজের নানা সমস্যার কথা বরাবর উঠে এসেছে তাঁর লেখায়। লোকসভায় তিন তালাক বিল পাশের পর আবুল বাশার আরও বলেন, “মুসলিম নারীর বাঁচার যে স্বাধীনতা, জীবন যাপনের স্বাধীনতা, তান্ত্রিক সমাজের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা কররার স্বাধীনতার কথাই আমার প্রথম উপন্যাস ‘ফুলবউ’-এ আমি লিখেছিলাম।” তাঁর মতে অনেক আগেই তিন তালাক নিষিদ্ধ হওয়া উচিৎ ছিল। শেষ পর্যন্ত যে এই বিল হল তা খুশিরই খবর।
তাঁর কথায়, “তিন তালাকের কু-ফল নিয়ে সর্বাধিক লেখা আমি লিখেছি। আধুনিক নারী মনের স্বরূপ কেমন হবে মুসলিম সমজে– সেসব কথাও বহু বার লিখেছি। সুরতাং তালাক নিষিদ্ধ হলে আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হব।”