আগামী এক থেকে দু’ঘণ্টার মধ্যে পূর্ব বর্ধমানে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে সামগ্রিকভাবে দক্ষিণবঙ্গে আজ (বুধবার) বর্ষণের সম্ভাবনা কম। উত্তরবঙ্গে অবশ্য ভারী থেকে অতি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দুই জেলায় জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সকাল সাতটার পর এক থেকে দু’ঘণ্টার মধ্যে পূর্ব বর্ধমানের কয়েকটি জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। এমনিতে নিম্নচাপ সরে যাওয়ায় বুধবার সার্বিকভাবে দক্ষিণবঙ্গে কমবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া যে নিম্নচাপের কারণে দুর্গাপুজোর পর থেকেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে একটানা বৃষ্টি হচ্ছিল, সেটি আপাতত বিহারের উপর অবস্থান করছে। দখিন-পূবালি বাতাসের কারণে বিক্ষিপ্তভাবে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে।
তবে বৃষ্টি থেকে রেহাই পাচ্ছে না উত্তরবঙ্গ। আজও উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত চলবে। হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারের দু’এক জায়গায় ৭০ থেকে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে দার্জিলিং এবং কালিম্পঙের দু’এক জায়গায়। সেখানে দিনভর ৭০ থেকে ১১০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে।
সেই পরিস্থিতিতে দার্জিলিং এবং কালিম্পঙের পার্বত্য এলাকায় ধস নামতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনিতেই মঙ্গলবারের প্রবল বর্ষণে কালিম্পং এবং দার্জিলিঙের একাধিক জায়গায় ধস নামে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক বাড়ি। ধসের জেরে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। সেইসঙ্গে ফুঁসছে উত্তরবঙ্গের নদীগুলি। তিস্তার জলস্তর বেড়ে গিয়েছে।