বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সহিংসতায় আক্রান্ত জেলার পুলিশ প্রধানদের বদলি করেছে। জানা গিয়েছে ফেনী, রংপুর, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বহু কর্তাদের বদলি করেছে হাসিনা সরকার। এই জায়গালুতে ক্রমাগত হিংসার শিকার হচ্ছিল সেদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা। এই পরিস্থিতিতে কড়া পদক্ষএপ নেওয়া কথা বলা হয়েছিল সেদেশএর সরকারের তরফে। ২২ জেলায় বিজিবি মোতায়েন থাকার পরও হিংসার ঘটনা থামেনি। এই আবহে বড়সড় রদবদল করল বাংলাদেশ সরকার।
জানা গিয়েছে, রংপুরের পুলিশ সুপার পদ থেকে বিপ্লব কুমার সরকারকে সরিয়ে ফেরদৌস আলি চৌধুরীকে আনা হয়েছে। ফেনীর পুলিশ সুপার পদে খোন্দকার নুরব্বির বদলে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুনকে আনা হয়েছে। চট্টগ্রামের ডেপুটি পুলিশ সুপার বিজয় বসাককে বদলি করা হয়েছে। তাঁর বদলে আনা হয়েছে সোহেল রানাকে। এদিকে রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে পুলিশ সুপার পদে আনা হয়েছে সঞ্জয় সরকারকে।
বাংলাদেশে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটে আসছে। গত বুধবার অষ্টমীর রাতে কুমিল্লা থেকে এই সহিংসতার সূত্রপাত। এরপর থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে হিংসার আগুন। রাজধানী ঢাকার রাস্তাতেও হিংসার ঘটনা ঘটে। গতকাল বাংলাদেশের উত্তর প্রান্তে অবস্থিত রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় সংখ্যালঘুদের ২০টি বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। হিংসার ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধনকারীদের উপর ঢিল ছোড়া হয় ফেনীতে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফেনীতেও সংঘর্ষ হয়।
এই আবহে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানান, এই সব হিংসার ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ছিল। তাঁর কথায়, ‘অনেক কিছু দেখে অনেক কিছু অনুমান করেছি। এখন আমরা শুধুমাত্র প্রমাণের অপেক্ষায় আছি। আমদের হাতে প্রমাণ এলেই আপনাদের সামনে তা তুলে ধরা হবে। আমরা নিশ্চিত যে এই সহিংসতার ঘটনা উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এই হামলা হামলা পূর্বপরিকল্পিত। পরিস্থিতি অস্থির করে তুলতে এবং সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমাদের দেশের মানুষ ধর্মভীরু হতে পারে কিন্তু তারা ধর্মান্ধ নয়।’